1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

অভয়নগরে কলেজ অধ্যক্ষের প্রতারণার শিকার হয়ে,পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছেনা এক ছাত্রীর।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৪২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধিঃ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার  ধোপাদী এস এস কলেজের অধ্যক্ষের খামখেয়ালি ও দুর্ণীতির কারণে আছমা খতুন নামের এক এইচ এসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ওই ছাত্রী বিবাহিত হওয়ার পরও নিয়মিত পড়াশুনা চালিয়েছেন। আগে থেকে না জানিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে ছলচাতুরী করেছে ঐ অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ স্বীকারও করেছেন। ফলে পরীক্ষার দু’দিন আগে শুক্রবার  ঐ ছাত্রী জানতে পারেন তার ফরম ফিলাপ হয়নি। এ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ওই অধ্যক্ষের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে অভিভাবকদের সাথে ধস্তাধস্তিও হয়েছে। অধ্যক্ষ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ঐ ছাত্রী ও অভিভাবকদের ভুলে ফরম পুরণ করা হয়নি বলেছেন। তিনি ঐ শিক্ষার্থীকে ১ম বর্ষের ছাত্রী দাবি করেছেন। এদিকে ফরম পুরণ না হওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন,উপজেলা আলীপুর গ্রামের আসাদুল হকের মেয়ে আছমা খাতুন। তার অভিযোগ, ধোপাদী এস এস কলেজের অধ্যক্ষ এসএম শহিদুল ইসলাম কারসাজি করে তার ফরম পুরণ করেনি। ঐ অধ্যক্ষ পরীক্ষার প্রবেশ পত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রীর বাড়ি পৌছে যাবে বলে প্রতারণা করেছেন। ঐ ছাত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমি এখন শশুর বাড়ি মুখ দেখাবো কি করে, আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। ঐ ছাত্রী আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি ২০২০ সালে এসএসসি পাস করি, ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে নিয়মিত লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মাঝে পারিবারিক ভাবে আমার বিয়ে হয়। এইচএসসি পাশ করার পরে আমাকে শশুর বাড়িতে তুলে নিবে। এখন আমার উপায় হবে কি? ফরম পুরণসহ কলেজের যাবতীয় ফিস আমি নিয়মিত পরিশোধ করেছি। পরীক্ষার একসপ্তাহ আগে অন্য শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছে। আমি ফোন দিলে ঐ অধ্যক্ষ আমাকে বলে জরুরি কাজে ঢাকায় এসেছি, ঢাকা থেকে এসে  প্রবেশপত্র তোমার বাড়িতে পৌঁছে দেবো। এরপর আর আমার ফোন ধরেনি, ফোন করলেই কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখেন। পরীক্ষার আর মাত্র দু’দিন বাকি তখন আমি জানতে পারলাম আমার ফরম পুরণ করা হয়নি। আমার এখন আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন পথ খোলা নেই।

 

এবিষয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বেনজির হোসেন জানান, ঐ অধ্যক্ষ আমার কাছে স্বীকার করেছেন, ঐ ছাত্রীর ফরম পুরণের জন্য টাকা নিয়েছিলেন, তিনি বিষয়টি আমাকে মিমাংসা করে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। ঐ কলেজের আর এক ছাত্র ধোপাদী ধোপাপাড়া এলাকার সুফল মন্ডলের ছেলে দিপু মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম স্যার আমার ফরম পুরণ করে দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকেও দু’হাজার টাকা নিয়ে ফরম পুরণ করেননি বা এডমিন কার্ডও দেয়নি, এখন আমি চরম বিপদে পড়েছি। আমি অধ্যক্ষের কঠোর শাস্তি চাই, আমার চরম ক্ষতি করলো ওই অধ্যক্ষ।

এলাকার অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঐ কলেজ অধ্যক্ষ একজন প্রতারক, সে মানুষের সাথে প্রতারণা করে। অনেক কিছু করেছে, সে একজন শিক্ষক হয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মিথ্যা কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এরকম ঘটনা নতুন কিছুই না, ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে যা তিনি কিছু রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে অপকর্ম করেন। যে কারনে কেউ কোন প্রতিবাদ করেনা।

এবিষয়ে অভয়নগর ধোপাদী এসএস কলেজের অধ্যক্ষ এসএম শহিদুল ইসলাম টাকা গ্রহনের কথা স্বীকার করে বলেন, ঐ ছাত্রী নিয়মিত কলেজে আসেনা। আমি রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছি তাই দুই হাজার টাকা নিয়েছি। ফরম ফিলাপ ঐ ছাত্রীর দোষে হয়নি। এদিকে আছমার জীবনের একটি বছর নষ্ট হওয়ার জন্য ঐ অধ্যক্ষকে দায়ী করেছে ঐ ছাত্রী ও তার পরিবার, তারা শিক্ষা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ঐ অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করেছেন।

এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট