অভয়নগর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে শিল্প শহর নওয়াপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা কয়লার ড্যাম্পিং এ ভেজাল মিশ্রিত কয়লা বিক্রয়ের নামে ইট ভাটা মালিকদের সাথে চলছে অভিনব প্রতারণা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কয়লা ব্যবসার আড়ালে করে চলেছে নানা ধরনের অবৈধ কারবার। নওয়াপাড়ায় প্রায় ১৮ টি কয়লা আমদানি কারক প্রতিষ্টান কয়লা আমদানি করে থাকে এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমি কিনে অথবা ভাড়া নিয়ে কয়লা ড্যাম্পিং করে রাখে। দেশের বিভিন্ন ইট ভাটা মালিকেরা তাদের ইট পোঁড়ানোর কাজে ব্যবহ্নত কয়লা কিনতে শিল্পশহর নওয়াপাড়ার উপর নির্ভরশীল। এই সুযোগটি কাজে লাগাতে কিছু ব্যবসায়ী কয়লা বিক্রির নামে ইট ভাটা মালিকদের সাথে করছে অভিনব প্রতারণা। রাজঘাট, চেংগুটিয়া, আলিপুর, মহাকাল, শংকরপাশা, দেয়াপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়লা ড্যাম্পিং এর আড়ালে কয়লার সাথে অটো রাইস মিলের ছাই, নদীর বালু, টাইলস মিলের পোঁড়া কয়লা মিশিয়ে বিক্রি করছে, এতে করে ঠকছে ক্রেতারা। একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা এই অবৈধ ব্যবসা করে আংগুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। এ সকল ব্যক্তিদের রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। যে কারনে স্থানীয় জনসাধারণ ঐ সব অবৈধ কারবার দেখলেও প্রতিবাদ করেনা। এ সকল অবৈধ কারবারী সিন্ডিকেট প্রশাসনকেও মাস শেষে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে এমন অপকর্ম। যে কারনে তারা দেধারছে প্রকাশ্য ছাই, বালু মিশিয়ে ড্যাম্পিং করে বিক্রি করছে কয়লা, বাধা দেয়ার কেউ নেই।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন পূর্বে উপজেলার আলীপুর নামক স্থানে প্রধান সড়কের পাশে একটি কয়লার ড্যাম্পে দিনের বেলা প্রকাশ্যে বালু ছাই মেশানোর খবরটি উপজেলা প্রশাসন অগ্রাহ্য করে কোন অভিযান পরিচালনা করেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ইট ভাটা মালিকদের সাথে নওয়াপাড়া কয়লা ব্যবসায়ীরা যা শুরু করেছে তাতে করে অচিরেই এ অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাবে কয়লার ব্যবসা। একদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে কয়লার সাথে ছাই মিশিয়ে লাভবান হচ্ছে, অন্যদিকে কয়লা আমদানি কারক প্রতিষ্টানগুলো ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সুনামধন্য কয়লা আমদানি কারকদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অনতিবিলম্বে ঐ সব অবৈধ কারবার কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ না নিলে অচিরেই শিল্প শহর নওয়াপাড়া থেকে বিলুপ্ত হবে সকল ধরনের ব্যবসা বানিজ্য। নওয়াপাড়ার মোকাম থেকে দেশের সব ইট ভাটা মালিকসহ সব ধরনের ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমি এইমাত্র আপানাদের কাছে জানলাম এবিষয়ে কোথায় কয়লার সাথে ছাই মিশানো হচ্ছে তথ্য দিলে সাথে সাথে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।