মোঃ কামাল হোসেন,অভয়নগর প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে, চোখ ওঠা রোগ বা বৈজ্ঞানিক ভাষায় রোগ টির নাম কনজাংটিভাইটিস যা স্থানীয়ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে চোখওঠা রোগ। শিশু, কিশোর,কিশোরী ,যুবক বৃদ্ধসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষের মাঝে এই রোগ দেখা যাচ্ছে। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় এক পরিবারে একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও হচ্ছে। রোগটি এখন উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন।এ রোগে শুরু টা হয় , প্রথমে অবস্থায় চোখ চুলকায় এবং পরবর্তীতে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে ও পানি ঝরছে।এছাড়াও বাইরের আলোতে চোখ দিয়ে দেখা যায় না , চোখ দিয়ে পেস্টি বের হয়। তবে চোখ ওঠার ৪-৫ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যায়।অপরিস্কার ও নোংরা জীবন যাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। নওয়াপাড়া পৌরসভার এক রোগী জানায়, তার বাসা মোট ৫জন সদস্যর মধ্যে ৩জনের এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তার মধ্যে ২জনই শিশু এ রোগ প্রথম তারা আতঙ্ক হলেও স্থানীয় এক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ড্রফ ও নাপা ট্যাবলেট খেয়ে আজ তারা ৪- ৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে গেছে।এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. ওহিদুজ্জামান বলেন, ভাইরাস জনিত চোখ ওঠা রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আতংকিত না হয়ে এ রোগে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
অপরিস্কার ও নোংরা জীবন যাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। তিনি আরো জানান, এই রোগের ক্ষেত্রে অগ্রিম পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নেই। রোগিরা হাসপাতালে আসলে তারা চিকিৎসা প্রদান করছেন এবং করবেন। তবে রোগটি যেন অন্যদের মাঝে না ছড়ায়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে।