মোঃ কামাল হোসেন,অভয়নগর প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পল্লী বিদুৎ কতৃপক্ষের অনিয়মের শেষ কোথায়। উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পুড়াখালী গ্রামের মৃত- মতলেব আলী মোড়লের ছেলে বিদ্যুৎ গ্রাহক তব্বত আলী মোড়ল। যার বিদ্যুৎ গ্রাহকের হিসাব নং ৬৮-২৫৮৩ যার প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল হয় ৬৮/৭০ টাকা একই গ্রাহকের আগস্ট ২০২২ বিদ্যুৎ বিল ১০৯৫ টাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই বিদ্যুৎ গ্রাহকের পূর্বের সব বিদ্যুৎ বিল স্লিপ প্রযালোচনা কোথাও ১০০টাকা বিল নেই। অথচ আগস্ট মাসে হঠাৎ তার বাসায় ১০৯৫টাকার বিল স্লীপ দিয়ে যায় কতৃপক্ষ যা দেখে গ্রাহকের মাথায় হাত। এবিষয়ে গ্রাহকের ছেলে জানান, আমরা মিটার পরিবর্তন করার জন্য কোন আবেদন করিনি হঠাৎ প্রাই ৪০দিন আগে আমাদের মিটার পরিবর্তন করে দিয়ে যায়। মিটার পরিক্ষা করে দেখা যায়। বিল স্লীপ অনুযায়ী পূর্বের মিটার নং ৭৯৬৪৬৮ হিসাব নং ৬৮-২৫৮৩ যেখানে মিটার রিডিং আছে, জুলাই ২৩/০৭/২০২২ পযন্ত ২৬৯৫ বিল করা অথচ আগস্ট মাসে নতুন মিটার যার নং ০০১২৭১৮৩ হিসাব নং ৬৮-২৫৮৩ যেখানে বিল পূর্বের রিডিং দেখানো ১৯/০৭/২০২২ ইং ২৭৪৫ ইউনিট বিল করার তাং ১৯/০৮/২০২২ ইং ২৯৪৬ রিডিং আছে। যার পূর্বের মিটারে বিল করার তারিখসহ মিটার রিডিং এর কোন মিল পাওয়া যায়না বর্তমান নতুন মিটার রিডিং আছে ৬/০৯/২০২২ পযন্ত ৫০ ইউনিট ব্যবহারিত অথচ নতুন মিটারের বিল স্লীপে ২০১ ইউনিট দেখিয়ে বিল করা ১০৯৫ টাকা পূবে কখনো ঐ গ্রাহকের বিল স্লীপে ১০০টাকারও বিল পাওয়া যায়না। যা বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের অবহেলায় গ্রাহকের মাথায় হাত। অনেকে অভিযোগ করে বলেন এমন অবস্থা নওয়াপাড়া পল্লী বিদুৎ কতৃপক্ষের যা দুর্নীতির মাধ্যমে গ্রাহকদের ঠকিয়ে ব্যবসা করছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক বলেন, এটাতো আমার চোখে পড়েছে তাই বুঝতে পেরেছি। বিদ্যুৎ বিল আসলেই না দেখে বিল পরিশোধ করে দেই। কি জানি এর আগে আমাকে কতটা ঠকিয়েছে তাই এখন ভাবছি কি করবো। এবিষয়ে পল্লী বিদুৎ যোনাল অফিস সিংগেড়ির এজিএম অশোক কুমার বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই, গ্রাহক যে আছে তাকে কাগজপত্রসহ পাঠিয়ে দেন আমি রেজিষ্টার দেখে ঠিক করে দেব।