মোঃ কামাল হোসেন,অভয়নগর প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের নওয়াপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ সালমা বেগম(৩৬) স্বামীর প্রতারণার শিকার হয়ে দুইটি কন্যা সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভূক্তভোগী কোনও উপায়ন্তর না পেয়ে ন্যায় বিচার পেতে বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অসহায় ভূক্তভোগী সালমার সাথে গত ১৫ অক্টোবর ২০০৪ সালে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী ৫০হাজার টাকা কাবিনে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কামারালী এলাকার প্রতারক স্বামী মইজুল ওরফে মফিজুর ইসলামের(রানা) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে ভূক্তভোগীর গর্ভে ফাতেমা খাতুন(১৭) ও মরিয়ম খাতুন(১২) নামের দুইটি সন্তান জন্মগ্রহন করার পরে প্রতারক স্বামী মফিজুল তার অনুমতি না নিয়ে ২য় বিয়ে করে ভূক্তভোগী বাদিনীর কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। ভূক্তভোগী সালমা দুইটি সন্তান মানুষ করার জন্য স্বামী মফিজুলের সকল নির্যাতন মেনে নিয়ে সংসার করে আসছিল। সর্বশেষ ১ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে প্রতারক স্বামী মফিজুর ইসলাম বাদি সালমাসহ দুই কন্যাকে অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ভূক্তভোগী উপায়ন্তর না পেয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে পিতার বাড়ি নওয়াপাড়ায় চলে আসে। এখন সে দুইটি কন্যা সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে ন্যায় বিচার চেয়ে বিজ্ঞ আদালত যশোরে স্বামী মইজুল ওরফে মফিজুর ইসলাম (রানা) কে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভয়নগর আদালতে একটি মামলা করেছেন। যার ধারা যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ।
মোছাঃ সালমা বেগম জানান, আমি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি স্বামী শাশুড়ীর অত্যাচারে, আমি খুবই কষ্টে আছি, আমার বড়ো বড়ো দু'টি মেয়েদের নিয়ে চরম বিপদে পড়েছি। তাদের লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ যোগানো আমার মতো মানুষের পক্ষে সম্ভব না। আমি যে কোন উপায়ে আমার সংসার স্বামী ফেরত পেতে চাই, তার জন্য দেশের সকল মানুষ আমাকে সহযোগিতা করেন। আমি এই দুইটি সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো? তিনি কথা বলতে বলতে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী মফিজুর ইসলাম ( রানা) বলেন, আমি ঢাকায় থাকি, মামলার বিষয়ে কিছু জানিনা, তবে আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালতে দেখবো কি হয়। আদালত আমাকে যদি কোন শাস্তি দেয় আমি মাথা পেতে নেবো। স্ত্রী'কে তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তানদেন আমি তাড়িয়ে দিইনি বা আমি কোন যৌতুকও দাবি করিনি, আমার স্ত্রী'র অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।