মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় অধিকাংশ খাবার হোটেলে খোলা এবং নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সবরকম খাবার। নওয়াপাড়া বাজারসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বেশিরভাগ খাবার হোটেল বা রেস্টুরেন্টগুলোর বাইরের দৃশ্য চকচকে থাকলেও খাবার তৈরির জায়গা দেখলে সচেতন মানুষ আঁতকে উঠবেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে চাকচিক্য পরিবেশে। এদিকে ছোট হোটেলগুলোর চেয়ে অনিয়ম চলছে বেশি বড়ো বড়ো রেস্টুরেন্টগুলোতে। এসব রেস্টুরেন্টগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও ভেতরে রান্না ঘরের অবস্থা খুবই অস্বাস্থ্যকর। নওয়াপাড়ার স্বনামধন্য একটি হোটেলে খাবার খেতে আসা কবিরুল হোসেন ওয়াশরুমে যাওয়ার পথে রান্না ঘরের পরিবেশ দেখে রেস্তোরাঁর মালিককে সঙ্গে সঙ্গে অবগত করেন। আপনার রেস্তোরাঁর সামনের পরিবেশ এত ভালো, কিন্তু খাবার প্রস্তুত করার জায়গা এত অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ কেন জানতে চাইলে রেস্তোরাঁর মালিক উল্টাপাল্টা বলে বুঝাতে ব্যর্থ হলে একপর্যায়ে প্রভাবশালী নেতাদের পরিচয় দিয়ে পার পেয়ে যান। ঘটনার সূত্র ধরে নওয়াপাড়া বাজার এলাকার অধিকাংশ হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, রানা ঘরের অবস্থা দুর্গন্ধযুক্ত, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। রান্না করার অংশে সাধারণত গ্রাহকদের প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। হোটেলের সামনের সাজসজ্জা করা অংশে খাবার খেয়ে বিল পরিশোধ করে বেরিয়ে পড়েন গ্রাহকরা। কিন্তু কোনো গ্রাহক যদি এসব হোটেলের রান্না ঘরের পরিবেশ দেখতেন, তাহলে কেউই খাবার মুখে তুলতেন না। অথচ এ ধরনের হোটেল মালিকরা ভোক্তাদের একদিকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন, অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার দিয়ে স্বাস্থ্য-ঝুঁকিতে ফেলছেন। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলার দায়িত্বরত ইনস্পেক্টর (তদারকি) আব্দুল ওহাব বলেন, সব সময় সতর্ক করার পরও এসব রেস্তোরাঁ মালিকরা নিয়ম কানুন মানছেনা, দ্রুত যশোর ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক স্যারের সাথে আলোচনা করে এসব হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।