নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকা সার্কিট হাউস নির্মাণ প্রকল্প’ বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১-এর অন্তর্ভুক্ত নগর অবকাঠামো উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীবের নেতৃত্বে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে সুপরিকল্পিত, স্বচ্ছ ও সময়নিষ্ঠভাবে।

এমন এক সময়ে, যখন প্রকল্পটি নির্মাণ কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর অতিক্রম করছে, ঠিক তখনই একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন অভিযোগের আশ্রয় নিয়েছে—যা প্রকৃতপক্ষে একটি সুগভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটির ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিধিমালা ২০০৮’ (PPR 2008) এর আলোকে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়েছে। ওপেন টেন্ডারিং পদ্ধতিতে (OTM) সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্বের বিন্দুমাত্র সুযোগ ছিল না।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক অভিযোগগুলো প্রকল্পে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কার্যাদেশ প্রাপ্তির ফলে সুবিধা বঞ্চিত একটি গোষ্ঠীর প্রণীত বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের অংশ। সরকারের চলমান উন্নয়নযাত্রা ও স্বচ্ছতা-ভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরনের অপচেষ্টা পূর্বেও দেখা গেছে, যা শেষ পর্যন্ত জনমনে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব তার দায়িত্বে থেকে নিরলস নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ পরিচালনা করছেন এবং ইতোমধ্যে প্রকল্পের অগ্রগতি দৃশ্যমান পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এর পূর্ববর্তী সকল দায়িত্বকালেও তিনি নিঃস্বার্থ পেশাদারিত্ব, দৃষ্টান্তমূলক স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত নীতিনিষ্ঠার মাধ্যমে নিজের কর্মদক্ষতার স্পষ্ট প্রতিফলন রেখেছেন। জনস্বার্থে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে বিতর্কিত করতে যে অপপ্রয়াস চলছে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ সংরক্ষণপূর্বক প্রশাসনিক স্তরে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ নামধারী এই প্রচারণা প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো প্রভাব ফেলবে না বরং সরকারি প্রকৌশল কাঠামোর প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে।