1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

আলীকদম ৩নং নয়াপাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬জনের নামে থানায় এজাহার অজ্ঞাত ৩ জন।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৪১ বার পড়া হয়েছে

জমির উদ্দিন

বিশেষ প্রতিনিধি।

 

আদালতে মামলা চলমান, একটি জায়গায় অবস্থিত দোকানঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আলীকদম উপজেলার ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়নস্থ বাবুপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আকবর আহামদের ছেলে জাফর আলম (৪৭) মোঃ সাহাব উদ্দিন (৬০) এবং সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ পারভেজ (২৭)সহ অজ্ঞাত আরো ০৩জনের নামে আলীকদম থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।আলীকদম উপজেলার ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়নস্থ ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আব্বাছ আহামদের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

 

এতে আনুমানিক ১৮, ০০,০০০(আঠার লক্ষ) টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। আগুনে ১টি মুদি দোকান, ১টি হোটেল (রেস্তোরা) এবং ১টি কাঁচা মালের দোকান ও একটি খালি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

 

দায়েরকৃত এজাহার ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আলীকদম উপজেলার ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আব্বাছ আহামদ জীবিত থাকা কালীন সময়ে ২৮৭ নং মৌজাস্থ  ১২৫_২৩০নং হোল্ডিং এর ৩.০০ (তিন একর) জমির খরিদসূত্রে মালিক হন। তখন থেকেই তার ওয়ারিশগন উক্ত জায়গায় বসত বাড়ী ও দোকান ঘর নির্মাণ করে বিগত ৪০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে। বর্তমানে উক্ত জায়গায় ০৭টি বসত বাড়ী, ১৪টি দোকান ঘর, ০১টি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার (রবি) ও একটি গণশৌচাগার অবস্থিত আছে।

 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১২/১১/২০২৩ইং তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ১২:৪৫ ঘটিকার সময় অভিযুক্তগন মোটর সাইকেল যোগে এসে নজির মেম্বার পাড়াস্থ কালভার্টের উপর মোটর সাইকেল রেখে আমার পিতার ক্রয়কৃত জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে উক্ত জায়গা অবৈধ দখল করার উদ্দেশ্যে কেরোসিন ছিটিয়ে দোকানগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

 

এতে আনুমানিক ১৮, ০০,০০০(আঠার লক্ষ) টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। আগুনে ১টি মুদি দোকান, ১টি হোটেল (রেস্তোরা) এবং ১টি কাঁচা মালের দোকান ও একটি খালি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

 

এই প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের বরাত দিয়ে জানান, রাত আনুমানিক ১২:৪৫ ঘটিকার সময় দোকানের বিপরীতে অবস্থিত বাড়ির নুর ইসলামের স্ত্রী প্রকৃতির কাজে ঘরের বাহিরে আসলে এহসানের চা দোকানের ছনের চালের মাঝ বরাবর সামনের অংশে আগুন দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করে উঠেন। এসময় দোকানের পেছনে অবস্থিত বাড়ির মৃত বশির আহামদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও ছেলে মীর কাসেম ঘর হতে বাইরে আসে।

এসময় আগুনের দিক থেকে তিনটি মানব ছায়া দৌড়ে পালিয়ে যেতে তারা উভয়ই দেখেন।

 

খবর পেয়ে আব্বাছ আহামদের ছেলে অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে আসার সময় অভিযুক্ত জাফর আলম কে একটি মোটর সাইকেলে এবং অন্য একটি মটর সাইকেলে সাহাব উদ্দিন ও পারভেজকে দ্রুত চলে যেতে দেখেন। এসময় জাফর আলমের গাড়িতে একটি কন্টেইনার এবং পারভেজের হাতে একটি লম্বা ছুরি দেখতে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

 

অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৭৯-৮০ সনে আমার পিতা আব্বাছ আহামদের ক্রয়কৃত জায়গা করনিক ভুলে আমার জেঠা (পিতার বড় ভাই) আকবর আহামদের নামে লিপিবদ্ধ হয়। ১৯৯৬ সালে আমার জেঠা আকবর আহামদ পিটিশন করে আমার পিতার নামে না দাবী নামা দেন। পরবর্তীতে ১০/০১/১৯৯৯ইং সালে নোটারীর মাধ্যমে তা কার্যকর করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা উক্ত জমি তাদের পিতার বলে দাবি করে জবর দখল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫/০২/২০২৩ ইং তারিখে আমরা আব্বাছ আহামদের ওয়ারিশগন এবং আমাদের ভাড়াটিয়া দোকান মালিকদের সর্বমোট ১৬ পরিবারের নামে বান্দরবান জেলা সিনিয়র জজ আদালতে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পূর্বে আমাদের দোকানঘর এবং বসত বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেবে এবং আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি অব্যহত ছিল।

 

আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যুৎ বিভাগের লাইন ম্যানের দেয়া তথ্য মতে এটি বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট অগ্নিকান্ড নয় বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

 

উক্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরদিন ১৩/১১/২০২৩ইং তারিখে আলীকদম থানায় এজাহার দায়ের করলেও অদ্যবধি থানা থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন এজাহার দায়েরকারী রফিকুল ইসলাম।

এব্যাপারে জানতে চাইলে আলীকদম থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অগ্নিকান্ডের অভিযোগটির তদন্ত চলছে, তবে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে এখনো সঠিকভাবে কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

আলীকদম ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অগ্নিকাণ্ডে দোকানগুলোর অর্ধেক পরিমান জ্বলে যাওয়ার পর আমরা সেখানে পৌঁছাই, তাৎক্ষণিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের বিষয়ে আমরা এখনো সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাইনি। প্রয়োজনে আমরা পুনরায় তদন্ত করবো।

 

নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এম কফিল উদ্দিন জানান, তিনি অগ্নিকাণ্ডের ১০মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং এটি বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট অগ্নিকাণ্ড বলে তিনি শুনেছেন।

 

এবিষয়ে অভিযুক্ত জাফর আলম এই প্রতিবেদক কে মুঠোফোনে জানান, উক্ত দোকানের প্লটগুলো এবং আরো কিছু জায়গা নিয়ে তাদের সাথে আমাদের মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমরা কেউ জড়িত নই, তারা নিজেরাই আগুন লাগিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এবং এই বিষয়ে আমরা ১৪/১১২০২৩ইং তারিখে আলীকদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

 

উল্লেখ্য, এজাহার দায়েরকারী এবং অভিযুক্তগন চাচাতো জেঠাতো ভাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট