1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

এলেঙ্গা পৌরসভার হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ আনিসির রহমান শেলী :

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এলেঙ্গা পৌরসভার হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার হাত ধরে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে হিসাব রক্ষক পদে চাকুরী পান গোলাম মোস্তফা। তিনি এলেঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ভাবলা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেনের ছেলে।
পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারী জানান, হিসাব রক্ষক পদে মাত্র ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করেন গোলাম মোস্তফা। এর পর থেকেই তার ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় মোস্তফা বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এর পর আর তাকে পেঁছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এই চাকুরীর ক্ষমতা দিয়েই ক্রয় করেন এলেঙ্গা শহরের মশাজান এলাকায় ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্যের জমি ক্রয় করেন। এখানেই থেমে থাকেননি ক্রয় করেছেন অর্ধকোটি টাকা মূল্যমানের দুই দুইটি ভেকু। যা অবৈধ বালুঘাটে ভাড়া দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পৌরসভার কর্মচারীদের সাথেও অসদ আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় ও ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, বিগত দিনে এলেঙ্গা পৌরসভায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’র (টিসিবি) কার্ড সংশোধনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এই হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় স্থানীয় ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা জানান, একজন কর্মচারীর অপকর্মের দায় পৌরসভা নেবে না।
এ বিষয়ে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আবু হানিফ ও আজাহার আলী সচিব বরাবর মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন। এ ঘটনার পর ভূক্তভোগীদের পক্ষে এক ব্যক্তি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর নিকট অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ওই অভিযোগটি আমলে নিয়ে স্থানীয় সরকারের প্রধান বরাবর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি প্রেরণ করেন পৌর প্রশাসক। যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে এলেঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোস্তফাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছিলেন।
ভূক্তভোগীদের দাবী, স্থানীয় ও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এখনও বীরদর্পে হিসাব রক্ষক পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মিনু বলেন, এলেঙ্গা পৌরসভার হিসাব রক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে টিসিবি’র কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও নাম সংশোধনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে হিসাব রক্ষক মোস্তফার বিরুদ্ধে। যা ইতিপূর্বে তিনি বিষটি স্বীকারও করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, আমি পৌরসভার নিয়মিত একজন ঠিকাদার। সম্প্রতি সময়ে আমার একটি কাজ সমাপ্ত করি। পরবর্তীতে হিসাব রক্ষক মোস্তফার নিকট বিলের চেকের জন্য গেলে টাকা দাবী করেন। টাকা না দেওয়ায় আমার বিল আটকিয়ে রেখেছেন। তিনি শুধু আমার কাছ থেকে নয় প্রত্যেকটি ঠিকাদারের কাছ থেকে বিল প্রদানের পূর্বে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার বিরুদ্ধে অযথা মিথ্যা ও হয়রানি মূলক অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমি কোন ধরণের অনিয়ম বা দূর্নিতির সাথে জড়িত নই।
এলেঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক বলেন, টিসিবির বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেটি পরবর্তীতে স্থানীয় সরকারের দায়িত্বরত কর্মরত কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা আমি জানিনা। এছাড়াও ঠিকাদারদের যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা আমি অবগত নই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট