স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইল সদর উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর কচুড়িপানার নিচ থেকে উদ্ধার হলো ইজিভ্যান চালক কিশোর আমিনুর বিশ্বাস আলিফ (১৫)-এর লাশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মিনারুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার তুলরামপুর ইউনিয়নের দেবভোগ গ্রামের একটি পুকুর থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলিফ উপজেলার ছোট মিতনা গ্রামের কিনায়েত বিশ্বাসের ছেলে। পেশায় সে ইজিভ্যান চালক ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ইজিভ্যানসহ বের হয়ে আর ফেরেনি আলিফ। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে রবিবার সকালে আলিফের মা রোজিনা বেগম নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি করার পরপরই পুলিশ তদন্তে নামে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে চাচড়া গ্রামের বাহারুল ইসলামের ছেলে মিনারুল ইসলামকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে মিনারুল চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দেয়। সে জানায়, ইজিভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আলিফকে ফাঁদে ফেলে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘স্পিড’ নামের পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর অচেতন আলিফকে হত্যা করে মরদেহটি দেবভোগ গ্রামের একটি পুকুরের কচুড়িপানার নিচে ফেলে রাখে।
পরে মিনারুলের দেখানো জায়গা থেকে পুলিশ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে আলিফের ইজিভ্যানটি এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন,
“জিডি করার পরপরই আমরা অনুসন্ধানে নামি। আটক মিনারুল স্বীকার করেছে যে, সে ইজিভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কিশোর আমিনুরকে হত্যা করেছে। তার দেখানো স্থানে পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ও ক্ষোভের ঝড়।