বুলবুল আহমেদ,ডিমলা(নীলফামারী)ঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা সদরের মেডিকেল মোড়সহ পুরো উপজেলায় প্রায় ১৮ টি ক্লিনিক ও প্যাথলজি রয়েছে।
গত চার মাস আগে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান এসব প্রতিষ্ঠানে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটকে অভিযান পরিচালনা করেন। এবং যে সকল ক্লিনিক ও প্যাথলজির কাগজপত্রে ত্রæটি রয়েছে তাদের কাগজপত্র করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়। কিছুকিছু প্রতিষ্ঠানে জরিমানাও করা হয় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। কাগজ পত্রের ত্রæটি ও অস্বাভাবিক কারনে শিশু মৃত্যুর কারনে সিলগালা করা হয় থানা সংলগ্ন লাইফ কেয়ার হসপিটাল ও মেডিকেল মোড়ের মেডিনোভা ক্লিনিক।
ডনয়ম মাফিক কাগজপত্র না করে স্বাস্থ্য বিভাগের কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সিলগালা ক্লিনিকগুলো পুনঃরায় খোলার পায়তারা করছে মালিক পক্ষ।
ডিমলা মেডিকেল মোড়ের বিভিন্ন স্থানে রং বেরং এর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে বিভিন্ন প্যাথলজির মালিক। অনেকের কাগজপত্র ওয়েটিং ফর ইন্সপেকশন পর্যায়ে রয়েছে।
এরমধ্যে মানবসেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিমলা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে এই তিনটি প্যাথলজির কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই দির্ঘদিন যাবত চালিয়ে আসছেন তাদের প্যাথলজি গুলো।
এ বিষয়ে বার বার ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামানকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করার পরেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হেসেন বলেন, ক্লিনিক প্যালজির বিষয়টি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সরকারি নিয়ম অনুসারে আমাকে অভিযান পরিচালনার জন্য চিঠি প্রদান না করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে যে সকল ক্লিনিক এবং প্যাথলজি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে শিগ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।