1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

কালিহাতীতে অবাধে চলছে এলেংজানী নদীর বালুকেটে বালু বিক্রি

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৪৩১ বার পড়া হয়েছে

মোঃমিজানুর রহমান শামীম,কালিহাতী(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার চর ভাবলা (খালেরপার),পাথাইলকান্দি, চুইনাবাড়ি ও বাঁশি গ্রামে এলেংজানী নদীতে অবৈধভাবে বালু কেটে বিক্রি বন্ধ হচ্ছেনা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসন লোক দেখানোর জন্য মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমান দিলেও পরক্ষনই চলে বালুখেকোদের এ কর্মযজ্ঞ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকইে জানায়, উপজেলার রাজাবাড়ি গ্রামের প্রভাবশালী ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন ,মামুন, দাদন ব্যবসায়ী সোহেল সিকদার, খালেরপাড় গ্রামের ওছিম উদ্দিন,এলেঙ্গার বিখ্যাত মাটি ব্যবসায়ী ফরজ আলী,বাঁশি গ্রামের শরিফ ও মাজেদুর মিলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধে চালাচ্ছে বালু ব্যবসা। মাটি খেকোরা দিন-রাত নদী থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।
সরেজমিনে বুধবার( ৫ এপ্রিল ) দুপুরে গিয়ে দেখা মিলে নদীর পাড়ের চিত্র। এলেংজানী নদীর ৪টি স্থানে ৬টি ভেকু বসিয়ে ছোট-বড় ড্রাম ট্রাক দিয়ে অবাধে মাটি বিক্রি করছে। মাটি বিক্রির জন্য কৃষকের আবাদি জমি, ব্রিজ ও মহাসড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে বালু ভর্তি ট্রাক মহাসড়কে উঠার সময় দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ নদীর পাড় ও পাউবোর জায়গা কাটার ফলে চর ভাবলা খালেরপাড় থেকে বাঁশি পর্যন্ত হুমকির মধ্যে পড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টি বসত বাড়ি। তাই তারা প্রথমেই মাটি কাটার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। কাজ না হওয়ায় পড়ে তারা স্থানীয় ভুমি অফিসকে জানায়।
এক গৃহবধু জানান, বাবা আমাদের বাড়ির পাশ থেকে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। বর্ষা এলেই বসত বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো আমাদের তো বসত বাড়ি ছাড়া অন্য কোন জায়গা নেই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় গিয়ে থাকবো। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন,এদের হাত থেকে কি আমাদের বাড়ি-ঘর বাঁচানোর কোন লোক নেই।

কালিহাতী উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভুমি) মো. নাহিদ হোসেন জানান, নদী থেকে মাটি কাটার বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

কালিহাতী থানার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুসেইন জানান, আমরা যাওয়া পুর্বেই তারা মাটি কাটা বন্ধ করে ফেলে তাই ব্যবস্থা নিতে পারি না। আপনারা বিষয়টি পুলিশকে একটু জানান।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাত হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি ইতিমধ্যেই কালিহাতীর প্রশাসনকে জানিয়েছেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট