
কালিহাতী প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক নারী ও পুরুষের মৃত্যু নিয়ে রহস্য বিরাজ করছে। অপরদিকে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন হত্যাকাণ্ড। আজ শনিবার ২৮ অক্টোবর সকালে উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের বনবাড়ী গ্রাম থেকে সুমি আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর অপরদিকে বিকালে উপজেলার বলিখন্ড গ্রাম থেকে আলী আজম (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কালিহাতী থানা পুলিশ। নিহত আলী আজম একই গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। নিহত গৃহবধূ সুমি আক্তার বনবাড়ী গ্রামের সৌদি প্রবাসী হাসমতের স্ত্রী ও পার্শবর্তী আটাবাড়ি গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে।
শনিবার সকালে নিহত গৃহবধূর মরদেহটি ও বিকালে যুবকের মরদেহটি হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর দশবছর বয়সী ছেলে সোহাগ বলেন, রাত তিনটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে উঠে মাকে পাশে দেখতে না পেয়ে পাশের কক্ষে মাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। দৌড়ে নানার বাড়ি গিয়ে সবাইকে ডেকে আনি। কানে ও মুখের পাশদিয়ে রক্ত পড়ছিল গলায় দাগও দেখেছি।
বাবা আব্দুল কাদের বলেন, কে বা কারা হত্যা করতে পারে সে বিষয়ে কোনও ধারণা নাই তবে নিশ্চিত আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের কাছে জোর দাবি দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করা হোক।
যুবক নিহতের ঘটনায় জানা যায়, সংসার জীবনে ভালোভাবেই বলিখন্ড গ্রামে বসবাস করছিল আলী আজম। পাঁচমাস আগে শশুরবাড়ি বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের পাছজোয়াইর গ্রামে থাকা শুরু করেন। সেখান থেকে আলী আজমের স্ত্রী শিরিন আক্তার তাঁর দুইভাই ও মা আজমের মরদেহ বলিখন্ড নিয়ে আসেন শনিবার দুপুরে।
নিহতের বড়ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছোটভাই আত্মহত্যা করে নাই। শশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মেরে ফেলেছে। আমি প্রশাসনের কাছে ভাই হত্যার বিচার চাই।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, নিহত গৃহবধূ ও যুবকের মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত গৃহবধূর বাবা আব্দুল কাদের বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। যুবক নিহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উভয় ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ও তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।