জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহীনঃ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ভূমি অফিসে সেবা নিতে গিয়ে অফিস কক্ষে আটকিয়ে কর্মচারীরা সিরাজুল ইসলাম(৬০) নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। কাশিয়ানী ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে দীর্ঘ নয় মাস ঘুরিয়ে সিরাজুল ইসলামের কাজ না করে দেয়ায় কাশিয়ানী মানবাধিকারে বিষয়টি জানালে। ৮ ই আগস্ট সিরাজুল ইসলামের হেয়ারিং ডেট ছিল হাজিরা দিতে অফিস কক্ষে ঢুকতেই সিরাজুল ইসলামকে রুমের মধ্যে ছিটকানি লাগিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকলে ওখানকার লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেরে তাকে উদ্ধার করে। অফিসের কক্ষে দরজা আটকে বিল্লাল, দুলাল, মিজান, আশরাফ কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। সিরাজুল ইসলামের ভাষ্যমতে মিউটেশনের কথা বলে আশরাফকে ১৯ হাজার ও দুলালকে চার হাজার টাকা দিয়ে নয় মাস যাবত ঘুরতেছে কিন্তু তার কাজ হচ্ছে না। এমতাবস্থায় তিনি মানবাধিকার অফিসে বল্লে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুনানির দিন আনুমানিক সকাল ১০:৩০ মিনিটে আমাকে পেয়ে দরজা আটকিয়ে মারতে থাকে ও বলে এখন কোন বাপ তোকে বাঁচাবে সাংবাদিকদের বলিস বলে চাকু দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় কর্মচারী মিজান ,কর্মচারী আশরাফ খাতা দিয়ে বাড়ি মারতে থাকে এবং তার কাছে থাকা কাগজপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন লাইট, সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়া হয়।
ভূমি অফিস থেকে বেরিয়ে কাশিয়ানী মানবাধিকার অফিসে ফোন দিলে মানবাধিকার সভাপতি ও অন্যান্যরা আসলে কর্মচারীরা তাদের সামনে কথা বলেনি। সেবা নিতে আসা অন্যান্য লোকজন নেককার লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে বলে বলেন।ঘটনার সময়
এসিল্যান্ড অফিসে ছিলেন না।যখন তিনি আসলেন তখন তার কাছে বিষয়টি বল্লে তিনি ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলামকে তার কাছে একটা লিখিত অভিযোগ দিতে বলে এর উপযুক্ত বিচার করবেন বলে জানিয়েছেন।কিন্তু সিরাজুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও তার কোন বিচার এসিল্যান্ড মহোদয় করেননি।
এলাকার জনসাধারণের মতে এই ভূমি অফিসে টাকার বাণিজ্য চলে, টাকা না দিলে কোন কাজই হয় না। ভূমি অফিসের অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তির শেষ হবে না।