1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

কিংডম বিল্ডার্স কেলেংকারী সরিয়ে দেয়া হচ্ছে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে!  

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

রোস্তম মল্লিক:

অনিয়ম, দুর্নীতি, কদলী বাণিজ্য, অদক্ষতা, স্বজনপ্রীতি, মুক্তিযুদ্ধের শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ও দায়িত্ব পালনে সীমাহীন ব্যর্থতার ও দুদকের অনুসন্ধানের দায়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। খুলনা মেডিকেল কলেজের সংস্কার কাজ এবং সাতক্ষীরা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল হাসপাতালের কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তরকে দিয়ে না করিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজেই সে কাজ করার জন্য লিখিত আবেদন করার পর থেকেই বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে সরিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীদের মধ্য থেকে একজনকে পদায়নের জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে খোদ মন্ত্রণালয়। এমনকি জানুয়ারিতে মন্ত্রীসভা রদবদলের সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হতে পারে। মূলত মন্ত্রীসভা রদবদলের আগেই গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদে পরিবর্তন আনা হবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র আরো জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৪ জন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নাম পরবর্তী গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে নির্বাচনের জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বতর্মান প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজ কমিশনের মাধ্যমে পাইয়ে দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মোহাম্মদ শামীম আখতারের আরেকটি পরিচয়ও রয়েছে । তিনি নারায়ণগঞ্জের ভূঁইগড়ের হাকিমাবাদ খানকা-ই-মোজাদ্দেদিয়ার ‘পীর সাহেব’। পীর হিসেবে তার নাম আল্লামা হযরত মোহাম্মদ শামীম আখতার (মাদ্দাজিল্লুহুল আলিয়াহ)। কম্বোডিয়াসহ বাংলাদেশের কয়েকটি স্থানেও রয়েছে এ খানকার শাখা। পীরের মুরিদরা এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার। বাস্তবায়ন করছেন মোটা অংকের উন্নয়নকাজ। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা থেকে সুযোগ-সুবিধাও আদায় করে নিচ্ছেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর পদে আসার আগে মোহাম্মদ শামীম আখতার ছিলেন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) মহাপরিচালকের দায়িত্বে। সেখানে কখনো কখনো প্রকল্প পাস না করে, কখনো টেন্ডার হওয়ার আগে কোটি কোটি টাকার উন্নয়নকাজ পেয়ে যান মুরিদ ঠিকাদাররা। মাসে লাখ টাকা বেতনে প্রকল্পের পরামর্শক, কর্মকর্তা-প্রকৌশলী থেকে বাবুর্চি-মালির মতো পদগুলোয় পান নিয়োগ। মুরিদদের সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন মহাপরিচালকের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে এইচবিআরআই থেকে একটি তদন্ত কমিটি। মুরিদদের ঠিকাদারিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে এইচবিআরআইয়ের এ তদন্ত প্রতিবেদন।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এইচবিআরআইতে যেসব মুরিদ নিয়মবহির্ভূতভাবে সুবিধা পেয়েছেন, তারা এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরে সক্রিয়। মোহাম্মদ শামীম আখতার গণপূর্তের শীর্ষ পদে যোগ দেন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এরপর গণপূর্ত প্রশিক্ষণ একাডেমি, একটি পূর্ত ভবনের উন্নয়ন, প্রধান প্রকৌশলীর বাসভবন সংস্কারসহ একাধিক প্রকল্পের কাজ পেতে শুরু করেন মুরিদরা। এরই মধ্যে তারা জায়গা করে নিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তর ঠিকাদার সমিতিতে। সর্বশেষ গত ১৬ নভেম্বর প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে ঠিকাদারদের মতবিনিময় সভায়ও উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন মুরিদ।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূঁইগড় বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্বদিকে কয়েকশ গজ দূরে হাকিমাবাদ খানকা শরিফের অবস্থান। খানকা শরিফের এক পাশে একটি বহুতল নূরানী মাদ্রাসা ও আরেকটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা। অন্যপাশে মসজিদ। মাঝখানে বিশাল প্রাঙ্গণ। প্রাঙ্গণ লাগোয়া একটি পুকুরও রয়েছে। জুমার নামাজ ও জুমা-পরবর্তী পীর সাহেবের বয়ানের জন্য খানকা প্রাঙ্গণে বানানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। জুমার নামাজের পর পরই মসজিদের বারান্দা থেকে ভক্ত-আশেকান আর মুরিদদের উদ্দেশে বয়ানে বসেন পীর সাহেব মোহাম্মদ শামীম আখতার। কয়েকটি বিশাল পাতিলে আগত ভক্ত-আশেকান, মুরিদের জন্য ছিল ভোজনের ব্যবস্থাও। ৩ ডিসেম্বর খানকা শরিফে এইচবিআরআইয়ের তৈরি কয়েক হাজার ব্লক ইটও দেখা গেছে, যেগুলো খানকার উন্নয়নকাজে ব্যবহারের কথা রয়েছে।

এইচবিআরআই ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, খানকার মুরিদদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন ‘পীর সাহেব’। সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তরের কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ। ঠিকাদারির পাশাপাশি নিয়ম ভেঙে মুরিদদের নানা সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছেন গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী।

২০১৯ সালের এপ্রিলে ‘নন ফায়ার ব্রিক প্লান্ট’ নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম বিল্ডার্েেসর সঙ্গে চুক্তি করে এইচবিআরআই। আইন অনুযায়ী, ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ প্রকল্পের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। এমনকি এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে এইচবিআরআইয়ের বাজেটও নেই। তার পরও ‘নন ফায়ার ব্রিক প্লান্ট’ নির্মাণের প্রায় ১৪ কোটি টাকার কাজ কিংডম বিল্ডার্সকে দেন সংস্থাটির তৎকালীন মহাপরিচালক, যার কাজ এখনো শুরু হয়নি। কিংডম বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুসরত হোসেনকে পীর সাহেবের ঘনিষ্ঠ মুরিদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এইচবিআরআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে। কিংডম বিল্ডার্স, কিংডম হাউজিং, কিংডম কনস্ট্রাকশনসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নুসরত হোসেন।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে এইচবিআরআইয়ের গবেষণা খাতে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। গবেষণা খাতের এ টাকা থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকায় ‘অটোমেটিক ব্লক মেকিং প্লান্ট’ স্থাপন করা হয়। এ কাজও পায় কিংডম বিল্ডার্স। ঠিকাদারকে সব বিল প্রদান করা হলেও প্লান্টটির কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। এ ধরনের কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংস্থার অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রকৌশলীদের নিয়ে কমিটি গঠনের নিয়ম থাকলেও স

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট