
সাখাওয়াত হোসেন (তুহিন)
মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:
আজ শুক্রবার সকাল প্রায় ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে দেশে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই দড়ি কাঁপানো ঘটনা রাজধানী Dhaka সহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মানুষকে ঘর থেকে ছুটিয়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেছে। ম্যাগনিচিউড ও গভীরতা প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্প ছিল ম্যাগনিচিউড ৫.৭ (মানব সেকেন্ডের রিখটার স্কেলে) এবং সংঘটিত হয়েছে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। অন্য এক সূত্র বলছে, গভীরতা প্রায় ৩৫ কিলোমিটার রিকশায় ছিল। প্রভাব এবং পরিস্থিতি ভূমিকম্পের ধাক্কায় বেশ কিছু জায়গায় ভবনের উপরে অংশ দুলেছে, অনেকেই বাইরে বেরিয়ে এসেছে বিশেষ করে ঢাকার এপার–ওপার এলাকায়।
এ পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ধ্বংস-ঝঞ্জটের খবর পাওয়া যায়নি। ভৌগোলিকভাবে, এই ধরনের ভূমিকম্প আমাদের দেশের জন্য বড় সতর্কতা বহন করে কারণ বাংলাদেশ ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। এই মাত্রার ভূমিকম্প সাধারণভাবে মধ্য মাত্রার বলে বিবেচিত যা বড় ধ্বংস করতে পারে না, তবে মানুষের আতঙ্ক ও সাময়িক ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে সক্ষম। গভীরতা কম হওয়ার কারণে (যেমন ১০ কিমি) ভূমিকম্পের ধাক্কা তুলনায় বেশ অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশে ভবন নির্মাণ-মান, প্রস্তুতি এবং জরুরি ব্যবস্থা সবই এখনও উন্নতির পক্ষে রয়েছে তাই এমন ঘটনাকে ভেবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
পরবর্তী করণীয় ও সতর্কতা ভূমিকম্প পরবর্তী একাধিক পরাহত কম্পন বা ‘আফটারশক’ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে তাই অত্যাধিক উচ্চ বা পুরনো ভবনে থাকার সময় বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। স্থায়ীভাবে বাস বা কাজ করার জন্য নির্মাণকাজ সঠিকভাবে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী মান অনুসরণ করার বিষয়টি আরো জোর দিক থেকে বিবেচনায় আসা উচিত সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন হলে তৎক্ষণাৎ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে হবে যেমন খোলা জায়গা, অস্থায়ী আশ্রয় অথবা বহির্মুখী উদ্বায়ী রুট (evacuation route) অনুসরণ করতে হবে।
অবশেষে বলতে হয়, আজ সকালেই দেশের সক্রিয় ভূমিকম্প ইতিহাসে আরেকটি মিডিয়াম মাত্রার ভূমিকম্প লেখা হলো। যদিও তা এখন পর্যন্ত গুরুতর ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর দিতে পারেনি, তারপরও এটি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। “প্রস্তুত থাকাই নিরাপত্তা” এই মন্ত্রে আমাদের সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন। আমরা এই ঘটনার পরবর্তী তথ্য সংগ্রহ ও আপডেট দিয়ে যাব দয়া করে নিরাপদে থাকুন।
তাং ২১/১১/২০২২