
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৪নং খামারপাড়া ইউনিয়নের জুগীরঘোপা গ্রামের শফিকুল মেম্বার পাড়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে কায়েমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন বিএসসিকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত ছাড়াই একজন সিনিয়র শিক্ষককে আসামী করে মামলা রুজু করায় উপজেলার স্কুল-কলেজে-মাদ্রাসার শিক্ষকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে তদন্ত করে ঐ শিক্ষকের নাম বাদ দেওয়ার আহবান জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর বিকেল ৩টায় উপজেলার জুগীরঘোপা গ্রামে ছাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কবরস্থানে গাছ রোপণকে কেন্দ্র করে কায়েমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন বিএসসি’র ভাতিজারা কবরস্থানে মালিকানা নিয়ে বাকবিতন্ডের পর মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই ঘটনার জের ধরে গত ৫ নভেম্বর ছাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সেই শিক্ষককে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। অথচ ২২ অক্টোবর বিকেল ৩টার সময়ে যে ঘটনা দেখানো হয়েছে সেসময় ঐ শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই একজন অসুস্থ শিক্ষককে আসামী করে মামলা রুজু করায় উপজেলার স্কুল-কলেজে-মাদ্রাসার শিক্ষক সমাজ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন বিএসসি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কিছুদিন আগেই স্ট্রোক করেছিলাম। আর ঘটনার দিনে আমি স্কুলে উপস্থিত ছিলাম। আমাকে হয়রানি করতে তারা আমাকে আসামী করে। এ ঘটনায় আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তদন্ত ছাড়াই আমাকে আসামী করায় সামাজিকভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছি।
এ মামলার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা আলমাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনার আমি কিছু জানি না। মামলা রেকর্ডের পর আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে কে তদন্ত করেছে তা আমাকে জানানো হয় নি। তবে তদন্ত করে সেই শিক্ষকের সম্পৃক্ততা না পেলে ফাইনাল রিপোর্টে নাম কেটে দেওয়া হবে।
খানসামা থানার ওসি নজমুল হক জানান, এর আগে জানা ছিল না যে তিনি একজন শিক্ষক। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।