ওসমান গনি
স্টাফ রিপোর্টার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রভাবশালী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ লামছড়ি মৌজার আর এস ১ নং খতিয়ানে ৮৩৯ নং দাগের খালটি ফুলদীশাখা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে বর্তমান সোনালী মার্কেট দিয়ে গোসাইচর গ্ৰামের মধ্য দিয়ে আবারো ফুলদীনদীর সাথে মিলিত হয়। কালের পরিবর্তনে সোনালী মার্কেট দিয়ে খালটির উপর কোন ব্রীজ/ কালভার্ট না দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে খালটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো প্রভাবশালী দখলদারদের দখল থেকে খালটি রক্ষা পায়নি। মার্কেট সংলগ্ন খালের জায়গাটি পাশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছেন।
স্থানীয় জেলে ও বেঁধে সম্প্রদায়ের কাছে খালটির কথা জানতে চাইলে তারা বলেন এই খাল দিয়ে স্ত্রোত প্রবাহিত হতো, তাই মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে আমরা অনেকেই এই খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেছি।এখন শুধু এই খালটি আমাদের কাছে অতীত ইতিহাস। উপজেলা পরিবেশবাদী নেতৃবৃন্দের কাছে খাল দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন জীববৈচিত্র্যের এই উপজেলার প্রত্যেকটি নদী- খাল দখলের অসম প্রতিযোগিতা থামছেই না। এখন যদি প্রশাসন ও জনগন এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারে তাহলে কোন একসময় পানির অভাবে গজারিয়া উপজেলা বিরানভূমিতে পরিনত হবে। এই খালটিও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা আশাবাদী সরকারের প্রশাসন এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অন্যান্য দখলদারদের কাছে খাল দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন আমাদের কোন বৈধতা না থাকলেও সকলের ন্যায় আমরাও বাঁধাহীন ভাবে ভোগ করতেছি।
এব্যাপারে গজারিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্তাব্যক্তির সাথে খাল দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন আমাদের কাছে খাল দখলের কোন অভিযোগ নেই তবে সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে খাল দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আইনত সরকারি খাল কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়ার বিধান নেই, যেহেতু আপনারা আমাকে অবহিত করেছেন অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।