মোঃগোলাম রাব্বী,স্টাফ রিপোর্টার:- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সরকার একটি অন্তবর্তী কালীন সরকার। অর্থাৎ একটি নিরপেক্ষ সরকার। তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়। তবে কোন কোন একটি রাজনৈতিক দল এটাকে আরো জটিল করে দিলেন পি আর পদ্ধতি, তারপরে গনভোট আগে পরে। এখন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে গণভোটের কোন আইনি ভিত্তি নেই।
যাইহোক তারপরও সব রাজনৈতিক দল প্রত্যেকের যাতে ইনক্লুসিভ সবাই একত্রে যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সব রাজনৈতিক দল মিলে ঠিক আছে সকলে গনভোট চাচ্ছেন সেটা গনভোট হোক ভোটের দিনে একসাথে ভোট হবে। কিন্তু এটাও তো মানুষের কাছে প্রশ্ন থেকে যাবে যে গণভোটের মাধ্যমে মানে আইনি একটি স্যাংসাং ছাড়া আপনি যখন আইনি কোন কাজ করতে যাবেন সেটার যদি আবার আইনি ভিত্তি না থাকে তাহলে কিন্তু এটা ভবিষ্যতের জন্য সংকট তৈরি করবে।
রবিবার দুপুরে আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘায় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গনি জমাদ্দার ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে সহায়তা শেষে বড় বিঘাই হাট স্কুল সংলগ্ন মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ইউনুস সাহেবের সরকার জুলাই অভ্যুত্থান, আন্দোলন ও বিপ্লব যেটাই বলি তার সরকার। এই সরকারের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন ছিলো বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। আমরা এখনো সমর্থন প্রত্যাহার করিনি বরং এখনো আস্থা রাখি। কিন্তু আস্থার জায়গাটি দুর্বল করার নিশ্চয়ই আস্থা নেই অন্তর্বর্তী সরকারের।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, আপনারা জানেন যে বিদ্যুতের জন্য যে চুক্তি করেছিল শেখ হাসিনা ভারতের একটি প্রাইভেট কোম্পানি আদানির সাথে। সেটা শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থে করেনি, জনগণের স্বার্থে করেনি। সেটা করেছে ওই বিদ্যুৎ কোম্পানির স্বার্থে। কারণ ভারতের একটি কোম্পানিকে যদি তিনি দেশের স্বার্থ নষ্ট করে চুক্তি করেন তাহলে ভারত শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখবে। পৃথিবীর কোথাও নেই একমাত্র শেখ হাসিনা এই কাজটি করেছেন। নদী বন্দর সমুদ্র বন্দর যদি ক্রমান্বয়ে বিদেশিদের হাতে যেতে থাকে তাহলেও তো একটা নিরাপত্তার প্রশ্ন, তাহলেও তো এটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ড. ইউনূসকে তো অবশ্যই বিবেচনা নিতে হবে, শেখ হাসিনা যা যা করেছেন তা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে করেছেন। যার কারনে মানুষ মনে করেছে একটা সময় তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অতএব এই ধরনের ভ্রস্টাচার, এই ধরনের মানব শিশুদের রক্ত পান কারী একজন ভয়ংকর নারী যে বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে চায় শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য, নিজের পরিবারের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য, বাংলাদেশ টাকা লুটপাট করার জন্য। বাংলাদেশের জনগনের যে টাকা আমানত রাখা হয়, সেই ব্যাংকগুলোকে হরিলুড করার জন্য তিনি কাজ করেছেন। সেটার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেটা ড. ইউনুস সাহেবকে দেখতে হবে। বিদেশীদের সাথে চুক্তির ক্ষেত্রেও দেশের নিরাপত্তা এগুলো দেখতে হবে। কত তো কাজ বাকি আছে, আপনার প্রায় ১ বছরের বেশি হয়ে গেলে মানুষ যেটাতে আক্রান্ত হচ্ছে আপনার তো নজর সেই দিকে থাকা উচিত। এই নভেম্বর মাসের ১৫ দিনেই ৫৩ জন লোক মারা গেছে ডেঙ্গুতে। আর ডেঙ্গুর প্রকোপ ঢাকার পরেই বরিশাল বিভাগে। এই জিনিসগুলো আজকে সারা জাতির প্রশ্ন। কেন এই সমস্ত ঘটনাগুলো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ হয়েছে এর ৮৪ টি ধারা কয়জন মানুষ জানে, মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে জানতে চায় যে আমার খাদ্য সরবরাহ ঠিক আছে কিনা, চালের দাম কমলো কিনা, আলুর দাম কমলো কিনা। আলু ৮০ টাকা হয়ে যায় এখন পঞ্চগড়ের দিকে আলুই বিক্রি করতে পারছে না। কৃষকের উৎপাদনে যে খরচ হয়েছে সেই উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেনা। এজন্য সমন্বিত পলিসি থাকলে পরে কৃষকরা এভাবে মাটির সাথে মিশে যেত না। এটাই একটি রাষ্ট্রের সত্যিকারের জনবান্ধব সরকারের এটি একটি নীতি এবং নমুনা যে তারা কৃষককে বাচাবে, শ্রমিককে বাচাবে নিম্নায়ের মানুষকে বাঁচাবে, ক্ষুধার্ত মানুষকে বাঁচাবে। এটাই হচ্ছে সত্যিকার অর্থে গণমুক্তি সরকারের একটি বৈশিষ্ট্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারে আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমান, যুগ্ন আহবায়ক, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্রি ও সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন সহ বিএনপি এবং অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কয়েকদিন আগে একটি অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচার হয় ৭ দিন ধরে না খেয়ে আছে মো. গনী জমাদ্দার (৭০) ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫০)"। বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নজরে আসলে তিনি আমরা বিএনপি পরিবারের নেতাকর্মীদের ওই পরিবারের পাশে দাড়ানোর নির্দেশ দেন। বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে সহায়তা পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেস গনী ও মমতাজ।