সাইদ গাজী , সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
গণ অধিকার পরিষদ সালথা উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ ফারুক ফকির কে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা গণ অধিকার পরিষদের প্যাডে ২৫ আগষ্ট (সোমবার) জেলা দপ্তর সম্পাদক আলামিন হোসেন লিখন সাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ আগষ্ট “২৪ এর গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক ভাবনা” শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান খান। উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকিরের প্রকাশ্য মদদে সেই সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং সভাটি পন্ড হয়ে যায়। এই বিষয়ে ফরিদপুর জেলা গণ অধিকার পরিষদের জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক সালথা উপজেলা সভাপতি ফারুক ফকিরকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ফারুক ফকির কে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে এইমর্মে আত্মপক্ষ সমর্থন সহ ৭ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে, জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের একজন কেন্দ্রীয় নেতার সামনেই ফারুক ফকিরের মদদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। শেষ পর্যন্ত জনসমাগম সভাটি পন্ড হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই জেরে সালথা উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকিরকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে গণ অধিকার পরিষদের কোন সভায় এ ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না। গণ অধিকার পরিষদ গণ মানুষের দল, এখানে খারাপ মানুষের কোন স্থান নেই।
এই বিষয়ে সালথা উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি মো ফরুক ফকির বলেন, সেদিন ঘটনায় জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এ আদেশ দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার কর্মী সমর্থক যারা ছিলো তারা হয়তো বিষয়টি মেনে নিতে পারেন নাই। তাই একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমি স্বাগত বক্তব্যে সেভাবেই বলেছিলাম। এই বিষয়ে আমি সাংগঠনিকভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দিব।
উল্লেখ: গত ২৩ আগষ্ট গণ অধিকার পরিষদের আলোচনা সভার এক পর্যায়ে ব্যানারে একটি নাম কে কেন্দ্র করে উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকির মঞ্চ ত্যাগ করেন, তিনি ফিরে এসে অনুষ্ঠানের মাঝে বক্তব্য দিতে চাইলে হট্টগোল শুরু হয়। এসময় ফারুক ফকিরের কয়েকজন কর্মী সমর্থক হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। নেতা কর্মীরা চেয়ার ছুড়ে মারেন। এরপর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান খানের হস্তক্ষেপে সভা পুনরায় শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সদস্যের সামনে হট্টগোলের ঘটনার উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকির নেতা কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন।