সিনিঃ স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাজীপুরের টঙ্গী কলেজ গেইট এলাকায় জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার, নিরাপদ সড়ক ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। একের পর এক সড়ক দূর্ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার,১৬ জুলাই- দুপুরে টঙ্গীর কলেজ গেইট এলাকায় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। এতে টঙ্গীর একাধিক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
এসময় শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিআরটি প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এসময় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, স্পিড ব্রেকার, স্থায়ী ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন, বিআরটি প্রকল্পের মাঝখানের লেন বন্ধ ও ঘাতক জলসিড়ি বাসের চালক এবং হেলপারের ফাঁসির দাবি করা হয়। পরে পুলিশ ও বিআরটি কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে দু'ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, বিআরটি প্রকল্পের হাউজ বিল্ডিং থেকে কলেজগেইট পর্যন্ত এলিভেটেড ফ্লাইওভার সম্প্রতি চালু হয়েছে যার ল্যান্ডিং হয়েছে কলেজ গেট এলাকায়। এখানে গাড়ির চাপ সবসময় বেশি থাকে। ফলে এখান দিয়ে পথচারী পারাপারের যে সুযোগ তা সংকুচিত হয়েছে। সেজন্য আমরা ফুটওভার ব্রিজ চালুর কথা বলেছি অনেক আগে থেকেই। বিআরটি কর্তৃপক্ষ এখানে স্পিড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিং করবে বলে জানিয়েছেন। ফুটওভার ব্রিজসহ এসব কিছু চালু হলে এই এলাকার সড়ক পারাপার শতভাগ নিরাপদ হবে। বিষয়টি আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, আমরা তাদের দাবির ব্যাপারে আন্তরিক। দুই-একদিনের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করা হবে এমন আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে টঙ্গীর কলেজ গেইট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ ৩ জন নিহত হয়। আহত হন বেশ ক'জন।