মোঃ লিয়াকত হোসাইন,
স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুরে ড্রাম ট্রাকের চাকায় পিষে হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলনকে অথচ তার বাইক রয়েছে অক্ষত! কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো,তা নিয়ে রহস্যর দানা বেঁধেছে।
পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি,সাংবাদিক মিলনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে’।শুক্রবার সকাল সোয়া দশটায় কাপাসিয়া উপজেলার কোট বাজালিয়া বাজারের পাশে ড্রাম ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাংবাদিক মিলন।প্রথমে সড়ক দূর্ঘটনা বলা হলেও তার মৃত্যুর ধরন দেখে সন্দেহ সৃষ্টি হয় স্থানীয় ও স্বজনদের। নিহত সাংবাদিকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ছেঁচড়ে গেছে। অথচ যে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই মোটরসাইকেলটি রয়েছে সম্পূর্ণ অক্ষত।ঘটনায় জড়িত ট্রাকটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার আগে সড়কের পাশে সাইট দেয়া নিয়ে মিলনের সঙ্গে ড্রাম ট্রাক চালকের বাক বিতন্ডা হয় এবং একপর্যায়ে ট্রাক চাপা দিয়ে ট্রাক চালক দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এতে ঘটনাস্হলেই প্রান হারান সাংবাদিক মিলন।
নিহতের ভাই কামাল হোসেন বলেন,আমি ঘটনাস্থলে এসে শুনেছি ট্রাক চালকের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হচ্ছিল এমন সময় তার ওপর ট্রাক চালিয়ে হত্যা করে চালক।স্থানীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শীও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রথমে সাংবাদিক মিলনের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয় ট্রাক চালক এরপর পাশে বাইক থামিয়ে ড্রাম ট্রাক চালককে তিনি জিজ্ঞেস করেন এইভাবে গাড়ি চালাও কেন? তখন চালক তার ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দেয়’।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাংবাদিক মিলন হত্যার বিচার দাবি করেছেন স্ত্রী রিমিন আক্তার।পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লুৎফুল কবির ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন,খুবই মর্মান্তিক ঘটনা যতগুলো বিষয় এখানে এসেছে সবই আমরা তদন্ত করবো এরপর আইনগত ব্যবস্থা নিবো।তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ঘটনার বিষয়ে কয়েকটি কথা শুনেছি কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে আমাদের এখনো কথা হয়নি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
নিহত মিলন কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাঈদ শেখের ছেলে। তিনি দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি এবং গাজীপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন।