
গাজীপুরে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১২), ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধামাচাপা দিতে ছাত্রীসহ তার পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে বলে জানায় অভিযোগে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত (৯ ডিসেম্বর) রাতে ওই ছাত্রীকে রাকিব (২৪) নামে এক কিশোর ডেকে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। পরে ঘরে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করে। সে স্থানীয় বাসির মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনায় ছাত্রী সহ তার পরিবার শনিবার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ মো.এমদাদুল হক কে জানালে, সে চল্লিশ হাজার টাকায় মীমাংসার জন্য প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীর পরিবার মীমাংসার জন্য রাজি না হলে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় নেতা শেখ দেলোয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন বলে জানান ওই ছাত্রী। পরে সোমবার সকালে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে দুপুরে স্বানীয়দের সহযোগীতায় জয়দেবপুর থানায় একটি অভিযো দায়ের করে।
ছাত্রীর মা জানান, আমার স্বামী নেই, ছেলে মেয়ে নিয়ে এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে চাকরি করি। এ সুযোগে আমার পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শুক্রবার রাতে ছেলের বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর শনিবার দুপুরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদ শেখ ও শেখ দেলোয়ার এর কাছে বিচারের জন্য যাই। তারা বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে চল্লিশ (৪০) হাজার টাকায় মীমাংসা করা প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় ছেলের পরিবার থেকেও খুন গুম করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ভয়ে আমরা ন্যায় বিচারের জন্য কোথাও যেতে পারিনি। পরে ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এ ব্যাপারে ভাওয়ালগর ইউপি সদস্য শেখ এমদাদুল হক জানান, আমার কাছে আসার পর আমি থানায় মামলা করার পরামর্শ দেই। টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি মহল আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), মাহাতাব উদ্দিন জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Like this:
Like Loading...