1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

গাজীপুর কাপাসিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে চলছে রমরমা অবৈধ ব্যবসা।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে

 

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।

 

 

গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় রয়েছে অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে মাদ্রাসা ও বিদ্যালয় বিধ্যমান। যার মধ্যে নয়ানগর মুত্তাকিন পাড়া আলিম মাদ্রাসা ,গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার নয়ানগর গ্রামে উপস্থিত।

এই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে।

নয়ানগর মুত্তাকিন পাড়া আলিম মাদ্রাসার প্রায় ৫ গন্ডা জমির অংশীদার, মোঃ বাবুল মিয়া ও তার ছোট ভাই শহিদুল্লাহ। মাদ্রাসার সভাপতি আবু বাশেদ খাঁন জাল দলিল এর মাধ্যমে উক্ত জমি মাদ্রাসার নামে দান করে হয়ে যান জমি দাতা।

 

নয়ানগর মুত্তাকিন পাড়া আলিম মাদ্রাসায়, চাকরি করেন মোঃ হারুন ও তার স্ত্রী।

তথ্য সূত্রে জানা যায়,হারুন তার পৈতৃক সম্পত্তি সভাপতি আবু বাশেদ খাঁন কে দিয়ে এ মাদ্রাসায় চাকরি নেন।

 

নয়ানগর মুত্তাকীন পাড়া আলিম মাদ্রাসায় (৮/৯) জন শিক্ষক NTRC এর জাল সনদ দিয়ে চাকরি করেছেন।তাছাড়া এখানে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে নিয়োগ প্রদান এবং নিয়োগ তারিখ হতে চার পাঁচ বছর পর MPO করন দেখিয়েছেন। অর্থাৎ শিক্ষা অফিসার আব্দুল মালেকের সংশ্লিষ্টতায় সাবেক শিক্ষা অফিসার আবুল কালামের স্বাক্ষর জিডির প্রতিনিধি ও রানী বিলাসমনির অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নকল সই পুরো কার্যক্রম এই বর্তমান শিক্ষা অফিসার আব্দুল মালেক মহাদয় করে থাকেন।

 

শুধু তাই নয়,এই মাদ্রাসায় পাওয়া যায় প্রবাসী চাকরি। প্রবাসী মোঃ ইসলাম

উদ্দিন নামে একজন শিক্ষক,যিনি প্রবাসে থেকে এই মাদ্রাসায় চাকরি করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত বেতন ভাতাও উত্তোলন করে থাকেন।

 

জাল সার্টিফিকেট সনদ ও বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়ে থাকেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

 

অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে, নয়ানগর মুত্তাকিন পাড়া আলিম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে।

 

সরেজমিনে দেখা যায় যেখানে মাদ্রাসা সকাল (৮) টা থেকে বিকাল (৪) পর্যন্ত চলার কথা । সেখানে দুপুর (২) টা বাজে গেলে মাদ্রাসা বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছে মতো মাদ্রাসা পরিচালনা করে থাকেন। তাছাড়া মাদ্রাসার নেই কোনো সাইনবোর্ড বা ব্যানার।

 

তাছাড়া মাদ্রাসার পাশেই রয়েছে একটি কাঁচা মাটির সড়ক ,সেই সড়ক দিয়ে চলাফিরা করে মাদ্রাসার প্রায় ৩০-৪০ জন ছাত্র/ ছাত্রী ও প্রায়( ৫ ) হাজারের মতো এলাকাবাসী। সেই রাস্তা টি রাতের অন্ধকারে ( ভেকু ) দিয়ে খনন করে রেখে দেন সভাপতি বাসেদ।

 

এ বিষয়ে ( ৩ নং ওয়ার্ড) নায়াপাড়ার মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন আসলে আমি এসব জানি না।

মাসিক বড় একটা এমাউন্ট চলে যায় রফিক মেম্বারের কাছে।

 

 

এ বিষয়ে নয়ানগর মুত্তাকিন পাড়া আলিম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মফিজ উদ্দিন বনদুকশী কে ফোন করলে তিনি আমাদের প্রতিবেদক এর পরিচয় জেনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এবং বলেন আপনি কোন বালের সাংবাদিক ।

 

 

 

শুধু নয়ানগর মুত্তাকিন পাড়া আলিম মাদ্রাসাতেই, দূর্নীতি সীমাবদ্ধ নয় একই চিত্র ভেসে উঠে বড়িবাড়ি ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায়।

 

গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায়, বড়িবাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা উপস্থিত। এ মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও ,রয়েছে অনেক অনিয়ম।

২০১৫/১৬ সালে নিয়োগ যোগদান দেখিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল সালাম এর সংশ্লিষ্টতায় ২০১৯/২০/২১ MPO ভুক্ত করেন। বড়িবাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক/শিক্ষিকা ১/হাবিবুর রহমান ২/রোকসানা ৩/আব্দুর রশিদ ৪/নাহিদ সুলতানা ৫/নাসরিন সুলতানা তারা প্রত্যেকেই বর্তমান সুপার সেলিম মিয়ার সময়কালে নিয়োগ প্রাপ্ত। অথচ তাদের নিয়োগ দেখিয়েছেন ( সাবেক ) সুপার মাওলানা ফজলুল হকের সময় মাওলানা ফজলুল হক সাহেব বর্তমান (অবসরপ্রাপ্ত) রয়েছেন । তাছাড়া বড়িবাড়ি ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার, বেশিরভাগ শিক্ষক/শিক্ষিকার NTRC সনদ জাল।

নাসরিন সুলতানা শিক্ষিকার নিয়োগ নিয়ে এলাকা তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল।

 

শুধু শিক্ষক নিয়োগেই অনিয়ম নয় অনিয়ম হয়েছে কমিটি গঠনেও।

বড়িবাড়ি ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির (সভাপতি) মোজাম্মেল হক মিন্টু। তিনি জোরপূর্বক প্রায় (১০) বছরের চেয়েও বেশি সময় ধরে ( সভাপতি)

রয়েছেন। তাছাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার এই ম্যানেজিং কমিটির সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানা গেছে।

 

এসব অনিয়ম দুর্নীতির তথ্যে কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দিলে ,তারা একটা শুনানির সময় দেন যা কাপাসিয়া প্রশাসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেন।সময় অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গেলে তারা তালবাহানা শুরূ করেন।

এবং পরবর্তীতে আরেকটি সময় দেন।

 

শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড। এই শিক্ষাই যদি হয় অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ জদি হয় শিক্ষার ব্যবস্থা,তাহলে আমাদের আগামী তে দেশ কে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট