বিশেষ প্রতিবেদক
লক্কড় ঝক্কড় মার্কা চায়না গাড়ি কিনে সমালোচিত মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি খ. মাহাবুবুল হক এখন চায়না ডিজি নামে অধিক পরিচিত হয়ে পড়েছে নিজ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে । সংস্থা প্রধান তাই সামনে ভয়ে না বল্লেও, বাইরে তিনি চাইনা ডিজি নামে বেশ পরিচিত। একদিকে মৎস্য অধিদপ্তরের দুনীর্তিবাজ ডিজি খ. মাহাবুবুল হকের চাকুরীর মেয়াদ বাড়াতে মরিয়া অন্যদিকে ওয়াল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত এনএটিপি-২ নামের প্রকল্পের মৎস্য অংশের পরিচালক থাকা কালে চাইনা ব্রান্ডের গাড়ি ঢাকার বাইরের অফিসারদের গলার কাটা হয়ে রয়েছে। একটু চলতেই রাস্তার উপরে অকেজ হয়ে যায়। এমন দাবি সকল কর্মকর্তার মুখে। তাইতো তিনি এখন চাইনা ডিজি র তকমা লাগিছেন। যা এর আগে কোন ডিজি তার পদের আগে এমন বিশেষন লাগাতে পারেনী।
সূত্র জানায়, গাড়ি দুর্নিতি ধামাচাপা দিতে গাড়ি গুলো তড়িঘড়ি করে ঢাকার বাইরের অফিসারদের নিকট বরাদ্দ দেয়া হয় যাতে এমন লক্কড় মার্কা গাড়ি নিয়ে অধিদপ্তরের হেড কোয়াটারে কোন কথা না ওঠে । গাড়িগুলো যে সকল জায়গায় বরাদ্দ দেয়া হয় ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৯৯- ৪৫ (জীপ) রাজশাহী ডিডি অফিসে, ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩-৫৫- ২৩ (ডাবল কেবিন পিকআপ) আছে সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিট চট্টগ্রামে, ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩-৫৫- ২৪ (ডাবল কেবিন পিকআপ) আছে হ্যাচারি ম্যানেজার কোরচাঁদপুর ঝিনাইদহে, ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩-৫৫- ২৫ (ডাবল কেবিন পিকআপ) আছে দিনাজপুরে।
প্রতিটি ডাবল কেবিন পিকআপ কেনা হয় ৩৯ লাখ টাকা করে এবং জীব কেনা ৬৩ লাখ টাকায়। সূত্র আরো জানায় এই চাইনা গাড়ি কেনার জন্য ২০% টাকা ঘুষ গ্রহন করেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সাবেক এনএটিপির-২ সাবেক পরিচালক খ. মাহাবুবুল হক।
জানা যায়, ঠান্ডা মাথার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ডিজি খ. মাহাবুবুল হকের দুনীতির টাকায় কেনা বিলাশবহুল ফ্লাট রয়েছে রাজধানীর আফতাব নগরের সিরাজ কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে। এই ফ্ল্যাট কেনার বিষয়ে অনেক কাল্পনিক গল্প বানিয়ে প্রচার চালিয়েছেন এই চতুুর ডিজি।
ডিজির দাবি তিনি ফ্ল্যাট কিনতে তার বিভিন্ন কলিগ বা বন্ধুদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ, দশলাখ টাকা ধার করে এই ফ্ল্যাট কিনতে সম্মত হয়েছেন। বাস্তবতা কিন্ত এর ঠিক উল্টা। ডিজির বিরুদ্ধে বর্তমানে দুদকের মামলাও তদন্তাধীন বলেও সূত্রটিআরো দাবি করেন।
ডিজি তার চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য নিজ শ্বশুর বাড়ি বাগেরহাট জেলাতে হওয়ার সুবাদে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বড় একটি পরিবারে কাছে তদবির করছে বলে আরেকটি সূত্র দাবি করে, তবে তার এই তদবির কতটুকু কার্যকর হবে এটা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন।