1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

চল্লিশ বছর আগের সেতু এখন মড়নফাঁদ: ঝুকি নিয়ে চলাচল

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

 

 

সাইদ গাজী , সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে ভাঙাচোরা সেতুর উপর দিয়েই চলছে যানবাহন। জেলার দুই উপজেলা বোয়ালমারি ও সালথার সংযোগ সড়কের সালথা উপজেলার নারানদিয়া নামক স্থানে প্রায় ৪০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিছুদিন আগেও সেতুর একপাশের রেলিং শুন্যে ঝুলে ছিল। বর্তমানে সেতুর দুপাশের রেলিং ভেঙে মাটিতে পড়ে গেছে। পলেস্তারা ওঠে গিয়ে বেরিয়ে গেছে রড। সেতুর উপরে খানা-খন্দে ভরা এবং ছোট খাটো দুর্ঘটনা যেন নিত্য দিনের ঘটনা। সেতুটি যেন পুরোপুরি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

কাছে গিয়ে ভাঙাচোড়া ওই সেতুর দিকে তাকালে যে কেউ ভয়ে কেঁপে ওঠবে। অথচ এই ভাঙাচোড়া অবস্থায়ই প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ ও নানা রকম যানবাহন। সেতুটি একদম সরু, সাধারণ একটি ভ্যান পার হওয়ার সময় উল্টোপাশে আরেকটি ভ্যান দাড়িয়ে থাকতে হয়। সেতু দিয়ে ছোট-খাটো কোন গাড়ি পারাপার হলে কেঁপে উঠে, মনে হয় এখনই যেন ভেঙে পড়বে। সেতুটি দ্রুত অপসারণ না করা হলে যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এতে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। তাই ওইখানে নতুন একটি সেতু পুননির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রামকান্তপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাসির তালুকদার বলেন, প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় নারানদিয়া সেতুটি। প্রায় এক যুগ ধরে সেতুটি ভেঙে-চুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। সেতুটি নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকি। কখন এটি ভেঙে পড়ে সেই আতঙ্কে থাকে সবাই। ওখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এলাকাবাসীর শান্তি নেই। অত্র এলাকার প্রায় দশ হাজার লোক মনে আতঙ্ক আর ভয় নিয়ে সেতুটি ব্যবহার করছেন। আর যানবাহন চালকরা তো প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করছে ওই সেতুর ওপর দিয়ে ।

স্থানীয়রা জানান, নারানদিয়া সেতুর পার হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার ও এলাকার সব চেয়ে বড় হাট ময়েনদিয়া বাজারে যেতে হয়। বিশেষ করে হাটের দিন কৃষিপন্য ভ্যানে করে ওই সেতুর ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে বাজারে যাতায়াত করা লাগে। এ ছাড়া আতঙ্ক নিয়ে ওই সেতু ব্যবহার করে জেলা-উপজেলা সদরে চলাচল করেন স্থানীয় কয়েক গ্রামের হাজারো। সেতুটি পুননির্মাণের উদ্যোগ হিসেবে মাঝে মাঝে মাটি পরীক্ষা করে যান কর্মকর্তা। তবে এখনো সেতুটি নির্মাণের কোনো লক্ষণ নেই। এমন অবস্থায় দ্রুত সেতুটি অপসারণ করে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সালথা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, নারানদিয়ার সেতুটির বিষয় খোঁজখবর নিয়েছি। সেতুটি একদম সরু, একটা গাড়ির বেশি পার হতে পারে না ওখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নতুন সেতুর অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করতে পারবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট