1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

ছাওলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি ইট, মাটি ও খোয়া বিক্রির অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

 

রংপুরের পীরগাছায় ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে রাখা সরকারি ইট, মাটি ও খোয়া বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠঠে ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে। এর আগেও চেয়ারম্যান হাটের জায়গার ৬১ ট্রলি মাটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করছেন ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম রনজু। উপজেলার পাওটানাহাটে বহুতল ভবন নির্মানের জন্য হাটের পুরাতন ইট-খোয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে রাখা হয়। গত ৫ নভেম্বর ওই ইউনিয়নের ৯ জন মেম্বার স্বাক্ষর করে রংপুর জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সেই আবেদনে সুপারিশ করেন বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসব বিষয় নিয়ে ওই ইউনিয়নের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পাওটানাহাটে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক বহুতল ভবন নির্মানের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। সকল প্রক্রিয়া শেষে ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ আই.এসি,এটিএম জেবি । কাজের শুরুতে পুরাতন ইট ও রাবিশ তুলে রাখা হয় ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে। কাজ শুরুর পর পর ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ৬১ ট্রলি মাটি বিক্রি করে দেন। মাটি নিতে বাধা দিলে তিনি ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম রনজুকে হুমকি-ধামকি দেন। এ নিয়ে ঠিকাদার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে মাটি বিক্রির কথা স্বীকার করেন এবং মাটি ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য।

অভিযোগে বলা হয়, পরিষদ মাঠে রাখা এক লাখ ৫০ হাজার ইটের মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর গভীর রাত থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন পরিষদ মাঠে রাখা সরকারি ইট, মাটি ও খোয়া ট্রলি করে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে বিষয়টি মানুষের নজরে আসলে ইট ভর্তি ট্রলি আটক করে স্থানীয়রা। এসময় ট্রলি চালকরা জানায়, চেয়ারম্যানের নিদের্শে ইট-মাটি নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এ নিয়ে পাওটানাহাটে তোলপাড় সৃষ্টি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সচেতন নাগরিক সমাজ। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই ইউনিয়নের ৯ জন মেম্বার স্বাক্ষর করে রংপুর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগে সুপারিশ করেন বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম রনজু বলেন, চেয়ারম্যানের বাঁধার কারণে কাজ করতে সমস্যা ও দেরী হচ্ছে।

ইউপি সদস্য আইয়ুব হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মাহমুদা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান গোপনে এক লাখ ৩০ হাজার ইট ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। যার বেশির ভাগই ইট নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে লুটপাটে ব্যস্ত আছেন।

বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, সব মিথ্যা। ইট-মাটি পরিষদ মাঠে রাখা আছে। ট্রলি ভর্তি ইট আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, কে কি অভিযোগ করে করুক। সময় হলে সব প্রমান হবে।

 

পীরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) কে দেখার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফীন বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট