মোঃ মনিরুজ্জামান (মিলন) পাটোয়ারী নীলফামারী প্রতিনিধি,
নীলফামারী জলঢাকায় বৈশাখী হাওয়ায় দুলছে ধানের শীষ, সেই দৃশ্য দেখে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসির ঝিলিক । এবার আবহওয়া অনুকূলে থাকায় ইরি বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে তাই কৃষকরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে বিভিন্ন উপজেলায়ে শিলা বৃষ্টির হচ্ছে তাই কৃষক ধান বেশি ফলনের আনন্দের সাথে চিন্তিত দিন কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে গতবারের তুলনায় এবার ২০ হেক্টর বেশি জমিতে ইরি বোরোর আবাদ হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে শুরু হবে কাটা মাড়াইয়ের কাজ। কেউ বাঁশের ডালী (টুকরি)তৈরী করছে, কেউ উঠান ঠিক করছে ধান শুকাবে বলে। কৃষকেরা কোমর বেঁধে প্রস্তত হয়ে আছে। নতুন ধান ঘরে উঠতেই শুরু হবে আনন্দ উৎসবের জোয়ার। উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, এবার প্রচন্ড রোদ থাকায় ধানের পোকার আক্রমণ সেভাবে হয়নি। তাই খরচ গতবারের তুলনায় অনেক কম হয়েছে। ডাউয়াবাড়ী কৃষক আজিজুল ইসলাম জানান গতবার ধান ক্ষেতে পোকা ঠেকাতে জমিতে পাঁচ থেকে দশবার পযর্ন্ত স্প্রে করতে হয়েছে। তারপরও কাজ হয়নি আর এবার একবারই কীটনাশক দিয়েছি তাতেই কাজ হয়েছে। শৌলমারী ইউনিয়নের কৃষক শামীম জানান আবহওয়া ভালো থাকায় আমার হাইব্রিড জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া যদি ভালো থাকে আশা করি বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মন ধান ফলবে । উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানান,এবার ১৪ হাজার ৬শত ৯৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বেশি। এ অঞ্চলে সাধারণত উফশী জাত ব্রীধান,৭৪,৮১.৮৮.৯৪.১০০ এবং হাইব্রিড জাতের জনকরাজ, লালতীর, যুবরাজ, হীরা২ এসিআই সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়। উফশী জাতের ধান বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ২৭ আর হাইব্রিড জাতের ২৮ থেকে ৩০ মন ধান হয়ে থাকে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। জলঢাকা উপজেলা কৃষি অফিসার আরো বলেন আবহওয়া যদি ভালো থাকে আশা করছি এবার ৬৫ হাজার ৬ শত ৫০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে।