বিশেষ প্রতিবেদক
আব্দুল খালেক, এলাকায় সবাই তাকে ডাকেন হাফিজ রাজাকারের ছেলে। অনেকদিন হলো চাকুরী করছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল- জামুকায়; সহকারী পরিচালক পদে। জামুকায় আগত বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাকে জানেন- এডি খালেক সাহেব হিসেবে। কেবল জানেন না, তার পিতা হাফিজ উদ্দিন একাত্তরের ভয়াল দিনে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জানি দুশমুন’ কুখ্যাত এক রাজাকার। সেই রাজাকারী রক্তের ধারাবাহিকতায় হয়তো বা সুযোগ পেলেই এডি খালেক তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। কারণটি সহজ, তিনি যে এখন জামুকার এসিসট্যান্ট ডিরেক্টর- এডি। খবরদারী করছেন একটি আস্ত বিভাগের সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর। ফলে রাজাকারের ছেলেকে সমীহ করে স্যার বলতে হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। ব্যাপারটা বিচিত্রই বটে।
জানা যায়, এডি আব্দুল খলেক-এর পৈতৃক ভিটা ঠাকুরগাঁও সদরের রহিমানপুরে। ওই এলাকার মানুষজনের বড় একটি অংশ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। একারণে অল্প কিছু মানুষ বাদে রাজাকারের আড্ডা জমেছিল রহিমানপুর এলাকায়। সেই রাজাকারদের একজন ছিলেন আব্দুল খালেকের পিতা হাফিজ উদ্দিন। একাত্তরের দুঃসহ দিনে কত নিরীহ মানুষের কপাল পুড়েছে হাফিজ উদ্দিনের হিংস্রতায়- সে হিসেব কেউ রাখেনি। একই কারণে তার ছেলে আব্দুল খালেক চাকুরী পেয়ে খবরদারীর সুযোগ পেয়েছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর। তার চাকুরী নেবার সময় এমন গুরুতর বিষয় কেউ খেয়াল করার প্রয়োজনও মনে করেননি। এমন তো হচ্ছে কতই। বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করলেই বা কার কি আসে যায়! ফলে তাই হচ্ছে- যা হবার। আর এভাবেই বুঝি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনৈক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চিঠি জাল করে এক ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা গেজেট করায় মূখ্য ভূমিকা রাখেন এডি খালেক। ঘটনা চাউর হলে তিনি অভিযোগের মুখে পড়েন। বিভাগীয় তদন্তে তার বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জাল ও ভূয়া পত্রের উপর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন এবং দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলাসহ অসদাচারণের অভিযোগে তাকে সাবর্ডিনেশন করা হয়েছিল। এমন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনৈক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চিঠি জাল করে এক ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা গেজেট করায় মূখ্য ভূমিকা রাখেন এডি খালেক। ঘটনা চাউর হলে তিনি অভিযোগের মুখে পড়েন। বিভাগীয় তদন্তে তার বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জাল ও ভূয়া পত্রের উপর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনসহ দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা এবং অসদাচারণের অভিযোগে তাকে সাবর্ডিনেশন করা হয়েছিল। এমন অভিযোগে আরও একাধিকবার অভিযুক্ত হয়েছেন এডি আব্দুল খালেক।