1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

টাঙ্গাইলে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা, অভিযুক্ত কারাগারে

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আনিসুর রহমান শেলী :
টাঙ্গাইলে টিনের দোকানের ম্যানেজার বিপ্লব কুমার ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত ম্যানেজারের স্ত্রী কৃষ্ণা সরকার বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে টাঙ্গাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মেসার্স মোল্লা সন্স এন্ড টিনের দোকানের মালিকের স্ত্রী (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মাহমুদা হক কল্পনা (৬০) সহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ দোকান মালিককে গ্রেফতার করেছে।

টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মৃত ব্যক্তি হলেন- সিরাজগঞ্জের দরগাহ রোড এলাকার মৃত নিখিল ঘোষের ছেলে বিপ্লব কুমার ঘোষ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব ঘোষ দীর্ঘ ১৮-২০ বছর যাবত টাঙ্গাইলের পূর্ব আদালতপাড়ায় কেয়া সিনেমা হলের সামনে মেসার্স মোল্লা এন্ড সন্স নামক টিনের দোকানে ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক গত তিন বছর পূর্বে ষ্টোক ও প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায় পড়ায় তার স্ত্রী মাহমুদা হক কল্পনা (৬০) দোকানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং বিপ্লব ঘোষ ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। গত ২-৩ মাস পূর্বে বিপ্লব ঘোষ এতো বড় দোকানের দায়িত্ব গ্রহণ করিতে অস্বীকার করলে বিবাদী তার নিকট সকল হিসাব নিকাশ বুঝে নেন। কিছুদিন পর ওই দোকানের মালিক পক্ষ দোকান বন্ধ করে দেয়। তাহার কিছু দিন পর বিবাদী বিপ্লব কুমার ঘোষকে মোবাইল ফোনে বলেন “আমার স্বামী যে সমস্ত ডিলারের কাছ থেকে টিন সংগ্রহ করতো সেই সকল ডিলাররা আমার স্বামীকে কমিশন দিতো, তুমিতো টিনের দোকানের ম্যানেজার এবং ডিলারদের কাছ থেকে টিন ক্রয় করেছো, তাহারা তোমাকে কমিশন দিয়েছে, এখন আমাকে ওই কমিশনের ৭০-৮০ লক্ষ টাকা ফেরত দাও।” বিপ্লব ঘোষ তখন জানায়, “আমিতো আপনার টিনের দোকানের ম্যানেজার, আমাকে কে এতো টাকা কমিশন দিবে? আমি কোন কমিশনের টাকা পাইনি। আর আমি এতো টাকা কোথা থেকে দেবো” জানালে উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন সময় তর্কবিতর্ক হতো। বিপ্লব ঘোষের স্ত্রী কৃষ্ণা সরকার তার স্বামীকে শান্ত থাকতে বলিলেও তিনি প্রায় সময় টেনশন করতেন। বিবাদী মাহমুদা হক কল্পনাসহ তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার হাসান (২৬)সহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে প্রায় সময় বিপ্লব ঘোষের বর্তমান বসত বাড়ীতে গিয়ে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদান করতেন। ফলে গত ১৪ আগষ্ট দুপুর আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় বিবাদী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বোয়ালিয়া মাদ্রাসা এলাকার হাসান সহ অজ্ঞাত ২-৩ জন বিবাদী বিপ্লব ঘোষের বসত বাড়ীতে গিয়া তাদের পরিবারের কোন সদস্য না পাইয়া বাড়ীর মালিকের নিকট ‘বিপ্লবের কাছে আমরা ৭০-৮০ লক্ষ টাকা পাবো যত দ্রুত সম্ভব তাকে দিয়ে দিতে বলবেন, তা না হলে ওর খবর আছে’ বলিয়া হুমকিয়া দিয়া চলিয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে বিপ্লব ঘোষ মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে, বিবাদীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে লোক লজ্জার ভয়ে গত ১৭ আগষ্ট দুপুর আনুমানিক পৌনে দুইটা-আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইল সদর থানাধীন পচা সাহাপাড়ায় চতুর্থ তলা বাসার ২য় তলায় শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে জানালার পর্দা গলায় পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। পরে ধর্মীয় বিধিমতে মৃত ব্যক্তির সৎকার সম্পন্ন হয়।

বিপ্লব কুমার ঘোষের স্ত্রী কৃষ্ণা সরকার জানান, আমার স্বামী ওই প্রতিষ্ঠানের সকল হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে চাকুরী ছেড়েছেন। ২-৩ মাস পর থেকে অযথা আমার স্বামীকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাতেন। আমার স্বামীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। ওরা আমার সব শেষ করে দিয়েছে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই।

টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ তানবীর আহমেদ জানান, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা (৩০৬/৩৪ ধারা) দায়ের (যাহার নং-২৪) হয়েছে। বিবাদী আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট