1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

দুপুর ২টার আগেই তালা মাদ্রাসায়, জেনেও ব্যবস্থা নেয় না উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

 

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের মাটিয়াল আল মোজাদ্দেদিয়া দ্বীনি দাখিল মাদ্রাসায় ফের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় প্রতিদিন দুপুর ২টার আগেই অফিস কক্ষসহ পুরো ভবনে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দিয়ে চলে যায় মাদ্রাসাটি সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিষয়টি স্বয়ং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জেনেও নেয়নি কেন কার্যকরী পদক্ষেপ। ফলে নিয়মনীতি তোয়াক্কাই করছেন না মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।

আজ সোমবার (১৪ জুলাই) সরেজমিনে দুপুর ২টার সময় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, সকল শ্রেণিকক্ষ ও অফিস কক্ষে তালা ঝুলছে। কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীকে প্রতিষ্ঠান এলাকায় পাওয়া যায়নি।

এর আগেও চলতি বছরে মাদ্রাসাটির অনিয়ম নিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাতেই দুই দফায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তখন “সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে এসে দুপুর ১টায় ছুটি”, “শিক্ষক সিদ্ধান্তেই চলছে প্রতিষ্ঠান” এমন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের পর কিছুদিনের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে এলেও বর্তমানে আবারও পুরনো চিত্র ফিরে এসেছে।

বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছেন এবং এই মহূর্তে কথা বলতে পারবেন না বলে জানান তার মেয়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, “বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলছে। এজন্য শিক্ষকরা চলে গেছেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিসে থাকার প্রয়োজন নেই। পরীক্ষা শেষ হলেই তারা চলে যাবে”

তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন অবস্থানে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “পরীক্ষা থাকুক বা না থাকুক, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করা বাধ্যতামূলক। এর ব্যত্যয় হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা বলছেন, নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ছে। বারবার এমন অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরছে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট