
সৈয়দ মহসিন । কিশোরগঞ্জ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার নতুন প্রচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে অংশীদারিত্ব না দিয়ে একদলীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে নতুন ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে একটি দল।”
মঙ্গলবার দুপুরে কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত গণ-সমাবেশে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট, নির্বাচনকালীন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবি তুলে তিনি এসব বক্তব্য দেন।
মামুনুল হক বলেন, “এক শ্রেণির মানুষ চায়—বিগত ১৫ বছর যেভাবে একটি দল বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করে দেশকে ফ্যাসিবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল, আবারও কেউ কেউ পালাবদলের নামে আগামী ১৫ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বাংলার মানুষ রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করেছে। নতুন ফ্যাসিবাদের হাতে এই মাটি ইজারা দেওয়া হবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামিক বাংলাদেশ—জুলাই সনদভিত্তিক বাংলাদেশ।”
গণ-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিস কটিয়াদী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জল হক রাশিদী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, বাইতুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ–২ আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাও. শফিকুল ইসলাম রুহানী, কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হক, কটিয়াদী উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোজাম্মেল হক জোয়ারদার, খেলাফত মজলিস কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা উসমান গণি, পাকুন্দিয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, কুলিয়ারচর উপজেলা সভাপতি মাওলানা নাছির উদ্দীন, নিকলী উপজেলা সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের কটিয়াদী উপজেলা সভাপতি সোয়েব ভুইয়া এবং খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ওমর ফারুক।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আল আমিন এবং উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি বাইজিদ আহম্মেদ।