নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আরিফ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় হত্যাকারী মো: জাহাঙ্গীর মিয়াকে গ্রেফতার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ
আরফি নাগরপুর সদর ইউনিয়নের নঙ্গিনাবাড়ী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো: হোসেন মিয়ার ছেলে। সে টাঙ্গাইল এমএম আলী কলেজের বিএ(অনার্স) প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলো।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট দুপুরে ডিসিস্ট আরিফ মিয়া তার ব্যবহৃত ১৫০ সিসি পালসার ডবল ডিক্স মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। ওইদিন রাতে আরিফ তার বোনকে ফোন করে জানায় সে সকালে বাড়ি যাবে। পরের দিন সকালে আরিফ বাড়িতে ফিরে না আসায় তার মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে আরিফকে খোঁজতে থাকে পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর নিহতের চাচা মো: হাসান মিয়া থানায় একটি জিডি করেন। পরে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল নিরন্তর প্রচেষ্ঠা চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নাগরপুর সদর ইউনিয়নের নঙ্গনাবাড়ী গ্রামের আলহাজ্ব উদ্দিন ওরফে দারোগ আলীর ছেলে মো: জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর জানায়, সে ডিসিস্ট আরিফকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে হত্যা করে এবং তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি অপর আসামী দেলদুয়ার উপজেরার দুল্লা গ্রামের মোকছেদুর রহমানের ছেলে মো: হাফিজুর রহমান রনির কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরের দেওয়া তথ্য মতে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার তিলি সেতুর নিচে ছন-কাশিয়ার মধ্যে ডিসিস্ট আরিফের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে অপর আসামী হাফিজুরের তথ্যমতে কালিহাতী উপজেলার বেহালাবাড়ী বাজার এলাকা থেকে নিহত আরিফের মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় হত্যাকারী মো: জাহাঙ্গীর মিয়া আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পরে আদালত আসামীদ্বয়কে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।