শাকুর মাহমুদ পটুয়াখালী
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া,দশমিনা,গলাচিপা বাউফলসহ পটুয়াখালী সদর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিক ইটভাটা। অধিকাংশ ইটভাটা গুলোই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বিহীন।কলাপাড়া উপজেলা শহরের পার্শ্ববর্তী নীলগঞ্জ ও চাকামাইয়া ইউনিয়নে ইটভাটা গুলো গড়ে উঠেছে আবাসিক বাড়ি ঘরের মধ্যে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ইটভাটা।পটুয়াখালী জেলাধীন সব উপজেলার ইউনিয়ন গুলিতে রয়েছে অবৈধ ইটভাটা।এবং ইট ভাটার মালিকরা পুর্তী বছর গুলির ন্যায় এ বছরও জ্বালানী হিসেবে কাঠ খড়ি দিয়ে পোড়াচ্ছে। এ জন্য ইটভাটার মালিকগন গত কয়েক মাস ধরে হাজার হাজার মন কাঠখড়ি সংগ্রহ করে তাদের ইট ভাটার নিদৃষ্ট স্থানে মজুদ করে ইট পোড়াচ্ছে। এখনও কাঠ খড়ি সংগ্রহ অব্যহত রয়েছে। আইনের তোয়াক্কা না করে।বনের কাঠখড়ি দিয়ে নির্বিঘ্নে পোড়ানো হচ্ছে ইট। আর এ ভাবেই চলতে থাকলে পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসবে। ব্যাঙের ছাতার মতো ইটভাটা গুলো গড়ে উঠলেও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ স্থানীয় প্রশাসন এই বছর কোন অভিযানে নামেনি অথচ দেশের সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের ব্যবস্থা করতে ও ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করতে গত ১৩ নভেম্বর, বাংলাদেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশনা জারি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব এবং পরিবেশ সচিবকে এ নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে অগ্রগতি জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে। তবে এবারেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন কি না এ নিয়ে সচেতন মহল সন্দিহান। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও, তা মানা হচ্ছে না। ইট পোড়ানোর মৌসুম আসতেই আবার চালু করা হয়েছে অবৈধ ইটভাটাগুলো। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতেও দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনকে। এব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক। কাজী মোঃ সাইফুদ্দন বলেন অতিশীঘ্রই আমরা অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে নামবো।