মোঃগোলাম রাব্বী,স্টাফ রিপোর্টার:- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক কৃষকের জমির ফসল নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় ওই কৃষককে রাতের আঁধারে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। হামলাকারীরা কৃষকের স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। আহত কৃষক বর্তমানে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রবিবার (১১’মে) গভীর রাতে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জাগঞ্জ গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত কৃষক মোঃ শাজাহান হাওলাদার অভিযোগ করেন, তিনি তার ৪০ শতাংশ জমিতে মুগ ডাল আবাদ করেছিলেন। প্রতিনিয়তই প্রতিবেশী মোঃ রহমান মাঝি রাতে তার মহিষ ওই জমিতে ছেড়ে দিয়ে ফসল বিনষ্ট করতেন। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আবারও একই ঘটনা ঘটলে শাজাহান হাওলাদার বাধা দেন। এ সময় মোঃ রহমান মাঝি ও তার ছেলে মোঃ রায়হান মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে।
চিৎকার শুনে শাজাহানের স্ত্রী ছুটে এলে তাকেও মারধর করা হয় এবং তার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় মোঃ রায়হান, যার সহযোগিতা করেন মোঃ নাঈম, পিতা মেরাজ মাঝি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাজাহান হাওলাদার থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
শাজাহান হাওলাদারের বড় ভাই মোঃ আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, “আমার ভাই নিরীহ মানুষ। তার কোনো পুত্রসন্তান নেই। একমাত্র মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকে। তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘরে বসবাস করেন। অনেক আগেই তার ফসল নষ্ট করেছে, কিন্তু হাতে-নাতে ধরা যায়নি। এবার হাতেনাতে ধরার পরই হামলা চালানো হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ঘটনাটি জানার পর সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল হোসেন হাসপাতালে গিয়ে শাজাহান হাওলাদারের খোঁজখবর নেন এবং বলেন, “আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”
অন্যদিকে শাজাহানের আত্মীয় মোঃ আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, “তার কোনো ছেলে না থাকায় প্রতিনিয়ত তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূল উদ্দেশ্য হলো শাজাহান হাওলাদারকে শেষ করে তার জমি দখল করা।”
ঘটনার পর মোঃ রহমান মাঝির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মির্জাগঞ্জ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে গিয়ে আহতের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।