1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

প্রশাসনিক শুদ্ধতায় আপসহীন এক নারী প্রকৌশলী

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজউক-এর জোন ৩/২-এর অথরাইজড অফিসার হিসেবে নিযুক্ত প্রকৌশলী শেগুফতা শারমীন আশরাফ দায়িত্ব পালনে যে সততা, শৃঙ্খলা ও পেশাগত অঙ্গীকার প্রদর্শন করে চলেছেন, তা নিঃসন্দেহে সমসাময়িক প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে কিছু বিভ্রান্তিকর অভিযোগ উত্থাপিত হলেও, তা প্রাথমিক তদন্তে অসার, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও তথ্যগতভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।

প্রকৌশলী শারমীন আশরাফ কর্তৃক গৃহীত প্রতিটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক ও কারিগরি কমিটির মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে—যা রাজউকের নীতিমালার সুস্পষ্ট অনুসরণ। বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তার ভূমিকাটি ছিল মূলত প্রক্রিয়াগত স্বাক্ষরের সীমায়, যেখানে কোনো একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বা কর্তৃত্ব তার ছিল না।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “প্রত্যেকটি ফাইলে সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ ও ইন্সপেক্টরদের যাচাই ছাড়া আমি কোনো অনুমোদনে স্বাক্ষর করি না। ব্যক্তিগত বা বাহ্যিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে আমি সবসময় নিয়মতান্ত্রিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।”

গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে মৌজা ও দাগ নম্বর পরিবর্তনের যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তার বেশিরভাগই তদন্তে অসত্য ও ভুয়া তথ্যসম্বলিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অনেক আবেদনকারীর পরিচয় ও ঠিকানার সঙ্গে প্রকৃত মালিকের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, কিছু সুবিধাবাদী গোষ্ঠী কৃত্রিম উপায়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে।

রাজউকের উচ্চপর্যায়ের তদন্তে প্রকৌশলী শারমীন আশরাফের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রশাসনিক ব্যত্যয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, ফলে বিভাগীয় বা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনও দেখা দেয়নি। বরং তার বিরুদ্ধে প্ররোচিত অপপ্রচার একটি নীতি-অবিচল, দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রয়াসমাত্র।

দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান গ্রহণ এবং দীর্ঘদিন ধরে চলমান প্রশাসনিক সিন্ডিকেট ভাঙার প্রয়াস তাকে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর বিরাগভাজন করেছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে। নারীর নেতৃত্ব ও সাহসিকতার বিরল উদাহরণ স্থাপনকারী এই প্রকৌশলী পেশাগত শুদ্ধতা, নৈতিক দৃঢ়তা এবং প্রতিষ্ঠানিক দায়িত্বশীলতার যে দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন—তা আগামী দিনের প্রশাসনিক কাঠামোর জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট