1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

প্রশ্ন শুনেই ক্ষিপ্ত যশোর গণপূর্তের ফজলুল হক |

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

 

 

এম এইচ মুন্না : দৈনিক গণতদন্ত-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ক্ষমতার অপব্যবহার, অস্বাভাবিক বিল পরিশোধ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এবং তদন্ত ধামাচাপার মতো ভয়াবহ অভিযোগের স্তূপ। আর এই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও শেরে বাংলা নগরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক যার প্রকৌশলীক প্রভাব, ছায়া-রাজনীতি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে প্রকৌশল মহলে তীব্র সমালোচিত।

 

বিগত ১৫ বছর তিনি কীভাবে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ জেলায় পদায়ন পেয়ে এসেছেন, কীভাবে কাজ না করেও ঠিকাদার জি.কে. শামীমকে প্রায় ১০ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করেছেন, কেন তদন্তে তাঁর অনিয়ম প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও নগণ্য শাস্তিতে পার পেয়ে গেছেন। এসব প্রশ্ন আজ নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

 

প্রশাসনের অভ্যন্তরের বিভিন্ন সূত্র বলছে, তিনি ক্ষমতার আড়ালে বহু বছর ধরেই “বিশেষ সুবিধা” ভোগ করে এসেছেন। প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি, সিদ্ধান্তগত অদক্ষতা, টেন্ডার কারসাজি, সুবিধাভোগী ঠিকাদারদের রক্ষা এসব অভিযোগ যেন তাঁর কর্মজীবনের ছায়াসঙ্গী।

 

এই সমস্ত গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে গণতদন্ত কর্তৃক যোগাযোগ করা হলে ফজলুল হক প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে পুনরায় ফোনে পাওয়া গেলে প্রতিবেদকের প্রশ্নে স্পষ্টতই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। জি.কে. শামীমকে কাজ না করেও বিপুল অঙ্কের বিল পরিশোধ, তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়া, প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি ও পদোন্নতিতে প্রভাব খাটানো এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিরক্তির সুরে বলেন, “জি.কে. শামীমের ব্যাপারে অনেক কিছু হয়ে গেছে…”

 

এরপর আর কোনো ব্যাখ্যা দিতে নারাজ হয়ে, চরম উত্তেজিত কণ্ঠে তিনি কথোপকথন থামিয়ে দিয়ে বলেন, “আল্লাহ হাফেজ।” এবং সেখানেই ফোন কেটে দেন।

 

একজন উচ্চপদস্থ সরকারি প্রকৌশলীর ক্ষেত্রে যে নৈতিকতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রত্যাশিত ফজলুল হকের আচরণ তার সম্পূর্ণ বিপরীত। অনুসন্ধানী প্রশ্নে তিনি এতটাই অস্বস্তিকরভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালেন যে, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো আরও বেশি সন্দেহজনক ও প্রসারিত হয়ে উঠেছে।

 

রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার লেনদেন, ঠিকাদারপ্রীতি, তদন্ত প্রতিবেদন বিকৃতি ও প্রভাব খাটানোর মতো যেসব তথ্য বিভিন্ন সূত্রে উঠে এসেছে, সেগুলো তাঁর ভূমিকা ছাড়া অসম্ভব। এমনটাই জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রকৌশলীক দুর্নীতির অন্ধকার গোলকধাঁধায় তিনি বহু বছর ধরেই “অদৃশ্য শক্তির সুরক্ষা” পেয়ে এসেছেন কিনা, তা-ও উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।

 

ফজলুল হক এখন ক্ষমতার চূড়ায় অবস্থান করলেও তাঁর পেছনে রয়েছে এক বিশাল অভিযোগের পাহাড়। আর এসব প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি যত চেষ্টা করছেন এড়িয়ে যেতে, সত্য ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। জনগণের টাকায় দুর্নীতির এই খেলায় তিনি নেপথ্য চরিত্র নন; বরং সামনের সারির অন্যতম মুখ।

 

এখানেই শেষ নয় চলবে….

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট