1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক পিডি জিয়াউল হকের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে আমাদের কিছু কথা।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

 

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রথম শ্রেনীর তদবিরবাজ কর্মকর্তা উপকুলীয় চরাঞ্চলের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ যেন থামছেই না। আর তখনই নিজেকে নির্দোশ করতে ব্যস্ত জিয়া। কিছু পত্রিকায় পুশিং সংবাদ প্রকাশ করিয়ে সেই সংবাদের কাটিং ফটোকপি করে দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিজেকে উপস্থাপন করতে ব্যস্ত এই সচতুর কর্মকর্তা।

ওভার স্মার্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জিয়া প্রাণিসম্পদে চাকরি করলেও সিনিয়র অফিসারদের ড্যাম কেয়ার করে চলেন। অধিদপ্তরে কর্মরত নিজ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা ডাঃ আজিজের অন্যতম শিষ্য জিয়াউল হক। ডাঃ আজিজ সাময়িক সাসপেন্ড হয়েছে। ছাড়তে বাধ্য করানো হয়েছে তাকে প্রকল্প পরিচালকের পদও। ঐ কর্মকর্তা আরো জানান, জিয়াউল হক আজিজের দেখানো পথেই হাটেন সবসময়। যার কারনে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জিয়াউল হকে একটু এড়িয়ে চলেন। জিয়াউল হক জুনিয়র কর্মকর্তা হয়েও তার এমন তদবির বাজির কারনে প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তাদের মাঝে মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বরিশাল এলাকা বাড়ি বলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা তার। সবসময় ভাবখানা যেন এমন থাকে আমি কোন হনুরে। অফিসের দাপ্তরিক কাজ নেই বল্লেই চলে। সবসময় থাকেন লবিং গ্রæপিং নিয়ে ব্যস্ত।

অজানা সম্পর্কের সুবাদে সুন্দরী এক নারীকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিজ ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি দিয়ে বাসায় পৌছে দেয়ারও অভিযোগ আছে জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে।

প্রকল্পের প্রচার প্রচারনার জন্য ভিডিও চিত্র নির্মাণ না করেই যোগসাজসের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিল আত্মসাৎ করেছেন জিয়াউল হক। অনন্যা ভিষন নামে একটি ইউটিউভ চ্যানেলে নারীর ক্ষমতায়ন নামের একটি ভিডিও চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, উক্ত ভিডিও তে প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হক কে দেখা যায় প্রশিক্ষকের ভুমিকায় প্রশিক্ষন দিতে। এবং একই ভিডিওতে উপকুলীয় চরাঞ্চলের প্রণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রচার প্রচারনার মেসেজ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঐ ভিডিওটি সম্পুর্ন নির্মান ও প্রচারনার ব্যায় বহন করেছের এ সি আই এনিমেল হেলথ নামের বেসরকারী সংস্থা।যার ফলে উক্ত ভিডিওটিতে শিরোনাম করে বলা হয়েছে এ সি আই এনিমেল হেলথ নিবেদিত আর সম্পূর্ন ভিডিওটিতে এসিআই লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। যেটাতে এসিআই কোম্পানি নিবেদন করেছে বলে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যার প্রমানক হিসাবে ঐ ইউটিউব চ্যানেলের একাধিক স্কিনশর্ট, ইউআরএল এবং ভিডিও ডাউন লোড করা আছে দৈনিক গণতদন্ত কর্তৃপক্ষের কাছে। যা তার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে প্রমান মিলবে।

জিয়াউল হকের প্রতিবাদ লিপি

এদিকে ডাঃ এস এম জিয়াউল হক তার বিরুদ্ধে দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার প্রিন্ট এবং অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে লিখিত প্রতিবাদ লিপি পাঠায় পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে। তিনি তার বিরুদ্ধে দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার প্রিন্ট এবং অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে প্রতিবাদ লিপিতে দেয়া সেল ফোন ও তার নিজ ব্যক্তিগত ব্যবহৃত ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চলবে…..

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট