লিমন হায়দারঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর এলুয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান মাওলানা নাবিউল ইসলাম এর সহযোগিতায় মালিকানা দাবি করে ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার গাছ কাটলেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী
পরিবারের সদস্যরা।সেখান থেকে ৪০% কমিশন নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান।এমনটাই অভিযোগ করলেন গাছ মালিক।
সম্প্রতি এলুয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ মুখে রাস্তার বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
গাছ কাটা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে জন মনে।গাছগুলো মালিকানা,নাকি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার?
বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে,ওই এলাকার ভবানী শংকর রায় রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলো নিজেদের মালিকানা দাবি করে গাছ কাটার জন্য মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেন।আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই জমিগুলো তাদের মালিকানা প্রমাণ হওয়ায় ভবানী শংকর রায়কে উক্ত গাছ গুলো কাটার অনুমতি প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা।
গাছ মালিক ভবানীশঙ্করের বক্তব্য, গাছ কাটার মুহূর্তে গাছ কাটতে বাধা প্রদান করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা নাবিউল ইসলাম।এ সময় চেয়ারম্যান তাকে বলেন,এই গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার।পক্ষান্তরে ভবানী শংকর রায়ের দাবি গাছগুলো তাদের মালিকানা জায়গায় রয়েছে।
এমতাবস্থায় গাছের মূল্য থেকে ৪০% দাবি করেন চেয়ারম্যান।পরবর্তীতে চেয়ারম্যানকে ৪০% টাকা পরিশোধ করা হয়।৪০% টাকা পাবার পর গাছ কাটার অনুমতি দেন ইউপি চেয়ারম্যান নাবিউল ইসলাম।
এখন প্রশ্ন উঠেছে গাছগুলো মালিকানা নাকি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার?
যদি মালিকানা গাছ হয়ে থাকে,তাহলে ইউপি চেয়ারম্যান ৪০% কিভাবে নিলেন?আর যদি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার গাছ হয়ে থাকে,তাহলে টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটলেন কিভাবে?
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী বলেন,গাছগুলো ভবানী শংকর রায়ের মালিকানা জমিতে থাকায় তাকে কাটার অনুমতি দিয়েছেন বন বিভাগ।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে কথা হয় মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আল আমিন এর সাথে।তিনি বলেন,ভবানী শংকর রায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে তাদের মালিকানা জমিতে গাছগুলো থাকায় তাদেরকে কাটার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে মালিকানা জমির গাছ হয়ে থাকে চেয়ারম্যানকে কেন পার্সেন্টেজ দিতে হলো?আর যদি গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার হয়ে থাকে তাহলে টেন্ডার ছাড়াই কেন কাটা হলো?
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নাবিউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,ব্যক্তিগত কমিশন তো নয়!ওই কমিশনের টাকা ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ডে জমা হয়েছে।আমি কেন গাছ কাটতে বলবো বা বাধা দিব?তারা বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে গাছগুলো কেটেছেন।পরবর্তীতে বন বিভাগের আদেশেই ওই টাকাগুলো আমি ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ডে জমা করেছি।