1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

বরিশােল ইলিশের আমদানি কম দাম উর্দমুখি।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২২৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মৌসুমের সেরা ইলিশ আমদানি হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মোকামগুলোতে। ফলে মোকামগুলো এখন সরগরম ইলিশের ক্রেতা-বিক্রেতার চাপে।সকাল থেকে শুরু করে রাত অব্দি জেলে-শ্রমিক, ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকছে বরিশাল নগরের বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিও। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন, আবার কেউ মানছেন না। ইলিশ ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই কারো।

কেউ বলছেন আমদানি কমায় ৩/৪ দিন আগের থেকে বর্তমানে বাজারে ইলিশের দাম বেড়েছে। আবার কেউ বলছেন আমদানি তেমন একটা কমেনি, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে ইলিশের দাম। তবে ৩/৪ দিনের ব্যবধানে যে দর বেড়েছে তা যতসামান্যই দাবি ব্যবসায়ীদের।

যদিও দর ঊর্ধ্বমুখী না হলে লোকসানের মুখ দেখতে হবে বলে দাবি জেলে ও ব্যবসায়ীদের। তবে ইলিশের আমদানি বর্তমানের চেয়ে আরো বাড়লে দরপতন আবারো ঘটবে বলে জানিয়েছেন তারা। আর রপ্তানির সুবিধা থাকলে মোকামে আমদানি হওয়া ইলিশ সংরক্ষণে বেগ পেতে হতো না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। পাশাপাশি তিনি বলেন, সরকারের বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপের কারণে দেশে ইলিশের উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনি আমদানিও বাড়ছে বাজারগুলোতে। ফলে দেশের সব পর্যায়ের মানুষ ইলিশ খেতে পারছে।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাগরের ইলিশের আমদানি থাকলেও নদীর ইলিশের আমদানি খুবই কম।

এর কারণ হিসেবে জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস জানান, এখন ডালা জো’র কারণে মাছের আমদানি কিছুটা কমেছে। আবার সাগরে যে সব ফিশিং বোট গেছে তারাও মাছ শিকার করে ফেরেনি। এসব কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। জোয়ার শুরু হলে আগামী সপ্তাহের রোববারের পর মাছের আমদানি বাড়বে এবং দরও কমবে।

পোর্টরোডের মৎস্য ব্যবসায়ী ইয়াসিন জানান, নদীর দেড় কেজি সাইজের প্রতি মণ ইলিশ ৪০ হাজার, কেজি সাইজের প্রতিমণ ৩২ হাজার, রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজ ২৯ হাজার, ভেলকা (৪শ থেকে ৫শ গ্রাম) সাইজ প্রতি মণ ২০-২১ হাজার এবং গোটলা সাইজ ইলিশ প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা মণ দরে। আর নদীর চেয়ে সাগরের ইলিশ কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে নদীর থেকে সাগরের ইলিশ মণপ্রতি সাইজ অনুাযায়ী ২-৩ হাজার টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।

কিন্তু গত ৩/৪ দিন আগে দেড় কেজি সাইজের প্রতিমণ ইলিশ ৩৬ হাজার, কেজি সাইজের প্রতিমণ ২৭-২৮ হাজার, রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজ (৬শ থেকে ৯শ গ্রাম) ২০-২২ হাজার, ভেলকা (৪শ থেকে ৫শ গ্রাম) সাইজ প্রতিমণ ১৪-১৫ হাজার এবং গোটলা সাইজ ইলিশ প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে ৯-১০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আড়তদার মো. নাসির উদ্দিন।

এই দুই ব্যবসায়ীর মতে, নদীর ইলিশেরব ব। আমদানি কম থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ের ক্রেতাদের মধ্যে এর চাহিদা বেশি। এ কারণে নদীর লোকাল মাছের দামও বেশি। আবার সাগর-নদী মিলিয়ে এলসি সাইজের মাসের চাহিদাও বেশি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট