অভয়নগর প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি যশোরের ঐতিহ্যবাহী যশোর সদরের মিনি শিল্প এলাকা বসুন্দিয়ার সদুল্যাপুর গ্রামের মৃত নিরোধ সরকারের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা নিখিল চন্দ্র সরকারের নিজস্ব পাকা বাড়ি জমি জায়গা থাকা সত্বেও সরকারকে ভুয়া তথ্য প্রদান করে ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাকা বাড়ি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নিখিল চন্দ্র সরকার গত ২ বৎসর পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করে যে, তার সীমিত জায়গা জমি থাকলেও ঘর-বাড়ি নাই, ভাড়া বাড়িতে থাকে। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য যশোর জেলা প্রশাসকের নিকট নির্দেশ প্রদান করেন। এরই সূত্র ধরে স্থানীয় বসুন্দিয়া ভূমি অফিস উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা নিখিল চন্দ্র সরকারের নিকট থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে ভাড়াটিয়া বাড়িতে থাকেন মর্মে একটি মিথ্যা ভুয়া প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭/২৩ লক্ষ টাকার একটি পাকা বাড়ি তার নামে বরাদ্দ হয়। ইতিমধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে। বিষয়টি নিয়ে উক্ত এলাকায় সাধারণের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি নিখিল চন্দ্র সরকার একজন হোমিও ডাক্তার হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। তার বসুন্দিয়া মোড়ে স্বস্তি হোমিও হল নামে একটি চেম্বার রয়েছে এবং সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ডিএইচএমএস প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি, শিক্ষা বর্ষ ১৯৭১-৭২, রেজিস্ট্রেশন নং- ০৪৪১, রোল নং-২২১, ক্রমিক সংখ্যা- ০৭৭০৩৫, মানবিক শাখা, ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ, জন্ম তারিখ ১০.১০.১৯৫২। স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে হোমিও সনদ ও শিক্ষাগত সনদের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এসকল বিষয়ে নিখিল চন্দ্র সরকারের কাছে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধারা সকলেই বাড়ি পেয়েছেন, তাই তিনিও বাড়ির জন্য আবেদন করে বাড়ি পেয়েছেন। হোমিও সনদ ও এসএসসি সনদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
বসুন্দিয়া ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামানের কাছে তার দেওয়া প্রতিবেদনের কপি দেখতে চাইলে তিনি অসহযোগিতা করে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি খুঁজে পাচ্ছিনা।