মোঃগোলাম রাব্বী,স্টাফ রিপোর্টার:- পটুয়াখালীতে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু-কিশোরকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সকল ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে খুব সহজেই অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে নেওয়া যাবে এই টিকা। সম্পূর্ণ শতভাগ হালাল ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত এই টিকা প্রদান করা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকা ভিত্তিক স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা পর্যায়ের পরামর্শ সভায় এতথ্য জানায় সিভিল সার্জন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা তথ্য অফিস।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার।
এসময় জেলা তথ্য অফিসার অনিমেষ কান্তি হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আসমা আখতার, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম আরিফসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। এ রোগ থেকে শিশু ও কিশোরদের সুরক্ষা দিতে টিকাদান কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে থেকে জেলার আটটি উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কমিউনিটি পর্যায়ে নয় মাস থেকে পনেরো বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষকদের সহায়তায় টিকাদান কার্যক্রম যেন শতভাগ সফল হয়, সে লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় বক্তারা জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগ পটুয়াখালী জেলার শিশু ও কিশোরদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।