বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাকি ঃ রক্ষকই ভক্ষক
টাঙ্গাইলে সিয়াম,সাইফ বিড়ির প্যাকেটে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের অভিযোগ
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি,
কাস্টমস সহ বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করে টাঙ্গাইলে সিয়াম,সাইফ বিড়ির প্রতিটি প্যাকেটে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাঙ্গাইলের ভোক্তায় অবস্থিত মেসার্স সিয়াম,সাইফ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে প্রতিটি বিড়ির প্যাকেটে নকল/জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে,সিয়াম,সাইফ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে সপ্তাহের ৪/৫দিন শত শত বিড়ি শ্রমিক বিড়ি তৈরী করে প্যাকেটজাত করে আসছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তৈরীকৃত প্রতিটি বিড়ির প্যাকেটে একটি করে কর পরিশোধিত ব্যান্ডরোল লাগানোর কথা থাকলেও উক্ত ফ্যাক্টরিতে তা মানা হচ্ছে না। নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে একাধিক বার ব্যবহৃত জোড়াতালি ব্যান্ডরোল দেদারছে লাগিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে নামে মাত্র শতকরা ৩০/৪০ভাগ আসল ব্যান্ডরোল ক্রয় করে বাকী শতকরা ৬০/৭০ভাগ ব্যান্ডরোল দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চোরা সিন্ডিকেটের নিকট থেকে নকল ব্যান্ডরোল নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় করে প্রতিটি বিড়ির প্যাকেটে লাগিয়ে রীতিমত সরকারি রাজস্ব ফাকি দিচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে সিয়াম ও সাইফ বিড়ির মালিকপক্ষ শামীম,সোহেল এর মুঠোফোনে কথা বললে তিনি অনেকটা দাম্ভিকতার সুরে বলেন, আমরা আমাদের উৎপাদিত বিড়িতে কিছু কিছু জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করছি-এটা সত্যি,তবে তা টাঙ্গাইল কাস্টমস ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষ সহ প্রশাসনের সর্বত্র ম্যানেজ করে করা হয়েছে। সিয়াম,সাইফ বিড়িতে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার সম্পর্কে টাঙ্গাইল ভ্যাট পরিদর্শকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে জানান, এটা তাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা আমাদের টার্গেট অনুযায়ী রাজস্ব পাচ্ছি। এভাবে সরকারি নিয়ম নীতির যথাযথ ব্যবহার যদি না করা হয় একদিকে সরকার বছরে হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব অন্যদিকে টাঙ্গাইলের আশে পাশে অবস্থিত অন্যান্য বিড়ির ফ্যাক্টরিতে এর প্রভাব পড়বে বলে বিজ্ঞমহলের ধারণা।