1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় হাতের মেহেদি শুকানোর আগেই স্বামীর হাতে লাশ হলেন নববধু তাছলিমা

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

 

সালমান রহমান , আশুগঞ্জ প্রতিনিধি।।

ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় হাতের মেহেদি শুকানোর আগেই

বিয়ের ৪ দিনের মাথায় স্বামীর হাতে লাশ হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় নববধু তাছলিমা আক্তার।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর মধ্যপাড়ায় স্বামী আব্দুল হামিদ তাকে হত্যা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে প্রবাসী আব্দুল হামিদের সাথে ৮ মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের মোবাইলফোনে বিয়ে হয়। গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুই পরিবারের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে আব্দুল হামিদ। এর মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে ফিরাযাত্রা করে শ্বশুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে আকষ্মিকভাবে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান ঘাতক স্বামী।

তাছলিমার বড় ভাই আব্দুল কদ্দুছ জানান, বিগত ৮ মাস আগে বিদেশে থাকা অবস্থায় আব্দুল হামিদের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বোনকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা তিনি তা জানেন না।

স্থানীয় কয়েজন জানায়, হামিদ ৬ বছর বিদেশ ছিলেন। দু-সপ্তাহ আগে দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি কারো সাথে মিশতো না।

পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা জানান, এর আগে কোনো পারিবারিক কলহের কথা তারা জানতেন না। হঠাৎ দুপুরে আব্দুল হামিদের বড় ভাই আবু হানিফের বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুনে সবাই ছুটে এসে হামিদ ও হানিফ দুই ভাই ধস্তাধস্তি করতে দেখে। এ সময় হামিদের হাতে রক্তমাখা ছুরি এবং হানিফের মুখ রক্তাক্ত ছিল। লোকজন আসলে হামিদ দৌড়ে পালিয়ে যায়।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নূরে আলম বলেন, দুপুরে হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। রক্তাক্ত অবস্থায় নববধুর লাশ বিছানায় পেয়েছি। পরে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। আসামিকে ধরার জন্য বাইপাস সড়ক ও সীমান্ত এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট