1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

ব্রিজ থাকলেও নেই রাস্তা,চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে
Oplus_131072

 

মোঃগোলাম রাব্বী, স্টাফ রিপোর্টার:- পটুয়াখালী জেলায় ৮ টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২০ টি গার্ডার ব্রীজের এ্যাপ্রোজ সড়কে ধীরগতির কারনে স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগ। এসব ব্রিজ দিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা ও জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে সহজে যাতায়াত করতে পারলেও এখন তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ব্রিজের এ্যপ্রোজ সড়ক না থাকায় স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এসব ব্রিজের এ্যপ্রোজ সড়ক দ্রত নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

পটুয়াখালীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জেলার গ্রামীণ সড়কে যোগাযোগ সহজতর করতে জেলার ৮ টি উপজেলার বিভিন্ন খালের ওপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করেন। অধিকাংশ এসব ব্রিজের এ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মাণ কাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করতে পারেনি এসব ব্রিজের এ্যাপ্রোজ সড়কের নির্মাণ কাজ। এসব গার্ডার ব্রিজের এ্যাপ্রোজ সড়কের মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ৬ টি, বাউফল উপজেলায় ৫ টি এবং দশমিনায় ৯ টি। এ্যপ্রোজ সড়ক বিহীন এসব গার্ডার ব্রিজের একটি হচ্ছে বাউফল উপজেলার বগী বাজার খালের উপর নির্মিত গার্ডার ব্রিজ। ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যায়ে ২০২১ সালে ২৪ মিটার গার্ডার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪০০ মিটার এ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন ও ব্রিজের পাশে চায়ের দোকানদার ফিরোজ আলম জানান, এখন থেকে প্রায় চার বছর আগে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এ্যাপ্রোজ সড়কের কাজ ঠিকাদার শেষ করেনি। এভাবে কাজ ফেলে চলে যায়। খালটির দুই পাশে সাপ্তাহিক বাজার বসে। বাজারের কয়েক হাজার মানুষ যাওয়া আসা করে এবং বগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ গার্ডার ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করে। এ্যাপ্রোজ সড়ক না থাকায় এখন তাদের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়। স্থানীয়রা ব্রিজটির দুই পাশে পরে থাকা ব্লোক বসিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই পাঁ পিছলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এ নিয়ে আমরা মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এখন পর্যন্ত ব্রিজটির এ্যাপ্রোজ সড়কের নির্মাণ কাজ করা হয়নি।

এদিকে, দশমিনা উপজেলার জনতা বাজার ভায়া কালারানী বাজার খালের উপর ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ৪৫ মিটার ও ১.৩০০ কিলো মিটার এ্যাপ্রোজ সড়কসহ নির্মিত গার্ডার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালে শেষ হলেও এখন পর্যন্ত এ্যপ্রোজ সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। ওই ব্রিজ নির্মাণ কাজের দ্বায়িত্বে থাকা মো.জামাল হোসেন জানান, ব্রিজটি নির্মাণে কিছু অতিরিক্ত কাজ যুক্ত হওয়ার কারনে কাজে ধীরগতি হয়েছে। এখন সমস্যা সমাধান হয়েছে। আশাকরি সামনে জুনের মধ্যে এ্যাপ্রোজ সড়কের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে পাড়বো।

পটুয়াখালী এলজিইডি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর জানান, ‘জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ২০ টি গার্ডার ব্রিজের এ্যাপ্রোজ সড়কের তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই ব্রিজগুলোর ডিজাইনে কিছু ফল্ট আছে, পূনরায় আবার ডিজাইন করতে হবে। আবার কিছু ঠিকাদার ৫ই আগষ্টের পরে পালিয়ে আছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে জমিজমা নিয়ে জটিলতায় এ্যাপ্রোজ সড়কের নির্মাণ কাজে ধীরগতি হচ্ছে। আশাকরি এই জুনের মধ্যে সমস্যা সমাধান করে এ্যাপ্রোজ সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট