একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী ও মানবাধিকার সংস্থা VARD- BANGLADESH/ ভার্ড- বাংলাদেশ এর উদ্যোগে, ভাষা শহীদের স্বরণে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন- সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাহবুব আলম আব্বাসী,সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান এম,এস,এ রেজা-এর সভাপতিত্বে, সংস্থার মহাসচিব শহিদুল ইসলাম-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মোঃ কামরুল ইসলাম (কামু) উপদেষ্টা ভার্ড- বাংলাদেশ , সহ-সভাপতি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামিলীগ, সম্মানিত অতিথি ছিলেন- এডভোকেট মোঃ শাহিন সরদার,মোঃ মনির হোসেন খান, মোঃ আকাশ আবেদিন, মোঃ কামরুল হাসান (কামাল) মোঃ লিটন হাওলাদার,
সার্বিক সহযোগিতা ছিলেন- মোঃ আশিক মন্ডল
ভাইস-চেয়ারম্যান, ভার্ড- বাংলাদেশ, সাবিরা সুলতানা সুমি অর্থসচিব, ভার্ড- বাংলাদেশ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- মোঃ সোহাগ হাসান সাংগঠনিক সম্পাদক, ভার্ড- বাংলাদেশ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (আপন) সাংগঠনিক সম্পাদক, ভার্ড- বাংলাদেশ। মোঃ মাসুম ভূইয়া , দৈনিক সরেজমিন বার্তা। নওশীন রহমান লিজা, দৈনিক গণজাগরণ। মোঃ আকাশ মাদবর, কার্যনির্বাহী সদস্য ভার্ড- বাংলাদেশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্ড- বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা, মোঃ কামরুল ইসলাম (কামু) বলেন,
আজ সেই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। এখন থেকে ৭২ বছর আগে ১৯৫২ সালের এই দিনে ছিল পূর্ববাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদের বাজেট অধিবেশন। সেদিন ডাকা হয় ধর্মঘট। ধর্মঘট প্রতিহত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
কিন্তু পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৪৪ ধারা ভেঙে মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সেদিন পথে নেমে এসেছিলেন ছাত্র, শিক্ষক, শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী অসংখ্য মানুষ। বজ্রনির্ঘোষ কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’।
ফাল্গুনের সেই দিনে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে মিছিলের ওপর পুলিশের গুলি চলে। শহীদ হন রফিক, শফিক, জব্বার, বরকত, শফিউদ্দীন, সালামসহ আরও অনেকে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভার্ড- বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুব আলম আব্বাসী বলেন, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন আর বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয় ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। বাঙালির ভাষার সংগ্রামের একুশ এখন বিশ্বের সব ভাষাভাষীর অধিকার রক্ষার দিন।
ভার্ড-বাংলাদেশ এর নির্বাহী চেয়ারম্যান এম,এস,এ রেজা বলেন,
সাতচল্লিশের দেশভাগের পর পাকিস্তানিদের দ্বারা পরিচালিত উৎকট বৈষম্যের সে রাষ্ট্রে কাঙ্ক্ষিত সমতা ও ন্যায়ের পরিবর্তে ছিল সীমাহীন শোষণ, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও অপমান। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন ছিল ওই বৈষম্য আর অপমানের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম সরব জবাব।
ভার্ড-বাংলাদেশ এর মহাসচিব বলেন,ছেষট্টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা ও উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে ধীরে ধীরে নিয়ে চলে স্বাধিকারের দিকে। এরপর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বাঙালি জাতিসত্তার মূলে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেটা নতুনভাবে পরিচর্যা পায়। বাংলা ভাষা অন্য এক মাত্রায় পৌঁছায় একুশে ফেব্রুয়ারির হাত ধরে।