জুয়েল রানা তুহিনঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইল ও গাজিপুর জেলার বিভিন্ন স্থান অভিযান চালিয়ে বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. রতন (২১), মাইজবাড়ী গ্রামের জহু মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৬), ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেরুয়া আলম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২২)।
বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই গ্রেপ্তারের কথা জানান।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জগামী মাদারগঞ্জ শেস্পাল নামক একটি যাত্রীবাহী বাসে সোমবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীবেশি সাত/আট জন ডাকাত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল উপজেলার মাতাবাড়ী জোড়াব্রীজ নামক স্থানে পৌছলে অস্ত্রের মুখে বাসটি নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের টাকা ও স্বর্ণের চেইন, মুঠোফোন নিয়ে মধুপুর এলাকায় নেমে যায়। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কয়েক জন আহত হন।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর ওই বাসের যাত্রী আরিফুর রহমান বাদি হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই মধুপুর থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) সমন্বয়ে একটি দল ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ডাকাতের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। বুধবার সকাল ৭ টায় মো. রতনকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মোনতলা গ্রাম থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি লুন্ঠিত একটি মুঠোফোন সেট ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সুজন মিয়া ও আরিফ হোসেনকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর উড়াল সেতুর এলাকা থেকে বুধবার সাড়ে ১১ টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুর ১ টার দিকে সাইফুল ইসলামকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা মোট আটজন ডাকাতিতে অংশ নেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে। ওই বাস থেকে তারা ১৩ টি মুঠোফোন সেট, একটি স্বর্ণের চেইনসহ মোট প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুন্ঠন করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।