নিজস্ব প্রতিবেদক:
শনিবার (১৬-ই ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে,
জাতীয় ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভার্ড-বাংলাদেশ এর উদ্যোগে, মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন- সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাহবুব আলম আব্বাসী,সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান এম,এস,এ রেজা-এর সভাপতিত্বে, সংস্থার মহাসচিব শহিদুল ইসলাম-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মোঃ কামরুল ইসলাম (কামু) উপদেষ্টা ভার্ড- বাংলাদেশ , সহ-সভাপতি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামিলীগ, সম্মানিত অতিথি ছিলেন- এডভোকেট মোঃ শাহিন সরদার,মোঃ আজিজ খান, মোঃদেলোয়ার হোসেন দিলু, আব্দুল মালেক, মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, নুসরাত রহমান, মোঃ আব্দুস সালাম,মোঃ কামাল হোসেন,মোঃ মনির হোসেন।
সংস্থার মহাসচিব তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন ”পাকিস্তানের নৃশংস হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে যখন এ দেশের ঘুমন্ত নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর ট্যাংক-কামানের মতো ভয়ংকর মারণাস্ত্র নিয়ে গণহত্যার পৈশাচিকতায় মেতে উঠেছিল, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল প্রতিরোধ সংগ্রাম। সে রাতেই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন-এই দেশের সব মানুষ চিরকাল গর্ববোধ করবে যে দিনটির জন্য, সেটি আজকের এই দিন—১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাম সংযোজিত করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। আজ মহান বিজয় দিবস।
সভাপতির বক্তব্য সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন-দেশের বীর সন্তানেরা যুদ্ধের ময়দানে ছুটে গিয়েছিলেন শত্রুর মোকাবিলায়। জীবনের মায়া তাঁদের কাছে ছিল তুচ্ছ। তাঁদের ছিল না যুদ্ধের প্রশিক্ষণ, ছিল না কোনো উন্নত সমরাস্ত্র। বঙ্গবন্ধুর আহ্বান তাঁদের উজ্জীবিত করেছিল সাহসে, সংগ্রামে। আক্ষরিক অর্থেই যাঁর কাছে যা ছিল, তা–ই নিয়েই দেশের বীর সন্তানেরা শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মরণপণ লড়েছিলেন মুক্তির সংগ্রামে।
প্রধান আলোচক হিসেবে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বলেন-দীর্ঘ ৯ মাস হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো এক শক্তিমান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধ করেছিলেন দেশের সব ধর্ম, বর্ণ, ভাষার বীর সন্তানেরা। ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল সম্পদহানির ভেতর দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে সফল হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ছিনিয়ে এনেছিলেন চূড়ান্ত বিজয়। জাতিকে মুক্ত করেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে।
এই ডিসেম্বরের কুয়াশাঢাকা বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার সূর্য, উড্ডীন হয়েছিল লাল-সবুজ পতাকা। বাতাসে অনুরণন তুলেছিল অগণিত কণ্ঠের সুর ‘আমার সোনার বাংলা/ আমি তোমায় ভালোবাসি…।’ আজকের দিনটি তাই একদিকে যেমন এ দেশের মানুষের কাছে চিরকালের, চিরগৌরব ও আনন্দের; তেমনি একই সঙ্গে স্বজন হারানোর বেদনাতেও নীল।
জাতি আজ এই বিজয়ের আনন্দের দিনে গভীর কৃতজ্ঞতা ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তানদের। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভরে যাবে অগণিত মানুষের নিবেদিত শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে।
সার্বিক সহযোগিতা ছিলেন- মোঃ আশিক মন্ডল
ভাইস-চেয়ারম্যান, ভার্ড- বাংলাদেশ,
সাবিরা সুলতানা সুমি, অর্থসচিব, ভার্ড- বাংলাদেশ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- মোঃ সোহাগ হাসান সাংগঠনিক সম্পাদক, ভার্ড- বাংলাদেশ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (আপন) সাংগঠনিক সম্পাদক, ভার্ড- বাংলাদেশ।
মোঃ রাসেল মিয়া,সদস্য ভার্ড- বাংলাদেশ।