1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মির্জাগন্জে চুরির মামলায় চুড়ান্ত রিপোর্ট না দেওয়ায় এসআই আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ!

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে

 

মির্জাগন্জ প্রতিনিধি

 

মির্জাগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে যানা গেছে। গত ২১ আগস্ট বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া এলাকার মোসাঃ শারমিন (৪০) নামে এক নারী এ অভিযোগ করেন।অভিযোগে উল্লেখ করেন যে ওই মহিলার স্বামী মোঃ শামসুল হক জোমাদ্দারে বিরুদ্ধে ৪ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে এসআই আবুল হোসেন আসামী গ্রেফতারের জন্য বাদীর নিকট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।এছাড়াও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটান। মির্জাগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, থানায় শামসুল হক জোমাদ্দার নামে কোন ব্যক্তির বিরুদ্বে থানায় রেজিষ্ট খাতায় কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) অন্তর্ভুক্ত নেই। তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলার আলোকে গত ৯ এপ্রিল আদালত আসামির প্রতি সমন জারি করেন।পরবর্তীতে শামসুল হক আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে, গত ১৪ মে আদালত আসামীকে জামিন মঞ্জুর করেন।

এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই আবুল হোসেনের কাছে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৬জুুন শামসুল হক ও স্ত্রী শারমিনের মধ্যে তালাক হয়। এরপর ১৯ জুলাই শামসুল হক বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শারমিনের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। ওসি স্যার আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এখানে উল্লখ্য আমাকে চুরির মামলা তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অথচ আমার বিরুদ্বে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলার তদন্তে ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ধরতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়েছে যা হাস্যকর বটে। যেখানে শামসুল হকের বিরুদ্ধে কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই সেখানে কীভাবে আসামি গ্রেফতারের জন্যে টাকা দাবি করবো। কথা হয় শামসুল হক জোমাদ্দারের সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার ১ম স্ত্রী মারা যাবার পরে আমি শারমিনকে বিয়ে করি কিন্ত শারমিন যে এতো চরিত্রহীন তা আমি জানতাম না। আমার বয়স হয়েছে, আমি বয়সের ভারে নুয়ে পরেছি আমার ২য় স্ত্রী আমার অনুপস্থিতে একাদিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জরান, আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাকে কয়েক ধফায় নিষেধ করেছি তিনি আমার কথা না শুনে তার অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন আমার ২য় স্ত্রী শারমিন তার আগের ঘরের সন্তানদের নামে আমার সম্পতি লিখি দেওয়ার জন্য কয়েকবার চাপ সৃষ্টিও করেন। আমি সংসারে শান্তির জন্য তাকে একলাক টাকাও দিয়েছি এর পর তিনি আমার নামে ব্র্যাক লিগ্যালএইড অফিসে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানী করেছেন। পরবর্তীতে মির্জাঞ্জজ থানার এস আই ইব্রাহীম তদন্ত করে আমার বিরিদ্বে কোন তথ্য প্রমান না পাওয়ায় আমাকে এই অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়েছে। এসব বিষয় আমার সাথে তার বুনিবনাত না হওয়ায় আমি আইন কানুন মেনেই শারমিনকে তালাক দিয়েছি। তালাকের পরে শারমিন আমার বাড়িতে জোর পূর্বক অনধিকার প্রবেশ করে আমার বাড়ির মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।এই চুরির মামলা তদন্ত করেন এস আই আবুল হোসেন। আমি মনে করি যে, চুরির মামলা চলমান থাকায় এই মামলাটি প্রভাবিত করার জন্য এস আই আবুল এর নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে আমার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী শারমিন। এটি সঠিক তদন্ত হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।

অভিযোগকারী শারমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

কথা হয় মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো :হাফিজুর রহমানের সাথে তিনি জানান, শামসুল হক জোমাদ্দারের নামে মির্জাগঞ্জ থানার কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। শুধু আদালত থেকে সমন জারি হয়েছে। আর যেখানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই সেখানে আসামী গ্রেফতারের জন্য ঘুষ দাবি করা কতোটা সঠিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট