1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মুরাদনগরের ভাইরাল ঘটনাটি ধর্ষণ নয়, দীর্ঘদিনের পরকীয়া।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

 

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহারচর গ্রামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আলোচিত ঘটনাটি ধর্ষণ নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরে চলা এক পরকীয়ার জের বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর হাতে বিবস্ত্র অবস্থায় ধরা পড়েন অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী উভয়েই, যাদের পরে গণধোলাই দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, বাহারচরের বাসিন্দা অনীল চন্দ্র দাসের স্ত্রী বিনা বালা পূর্ব পরিচিত শহীদ মিয়ার ছেলে ফজর আলীর (৩৪) কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদে ধার নিয়েছিলেন। ওই টাকা আদায়ের অজুহাতে ফজর আলী ও তার ছোট ভাই শাহপরান (২৫) নিয়মিত ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এ থেকেই গড়ে ওঠে এক প্রকার অনৈতিক সম্পর্ক।

ঘটনার রাতে, ২৬ জুন বৃহস্পতিবার, আনুমানিক রাত ১০:৩০টার দিকে শাহপরান প্রথমে অনীল দাসের মেয়ে দিপালীর ঘরে প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষণ পর ফজর আলী ঘরে ঢোকেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘর ঘিরে ফেললে শাহপরান পালিয়ে যায় এবং ফজর আলী ও দিপালীকে বিবস্ত্র অবস্থায় আটক করে গণধোলাই দেয়। পরদিন ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে, এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ একে স্রেফ পরকীয়ার ঘটনা বলেই দাবি করেছেন। এ নিয়ে পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বাহারচর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান আলী, আলম মিয়ার ছেলে মো. আরিফ এবং তালেম হাসনের ছেলে মো. অনিককে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর রবিবার বিকেলে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকেও গ্রেফতার করা হয়।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, “ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরকীয়ার ঘটনা বলেই উঠে আসছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ভিডিও ধারণ ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. নাজির আহম্মদ খান বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ও দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের গোয়েন্দা ও তদন্ত টিম মাঠে কাজ করছে। কেউ ছাড় পাবে না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন, এটি পুরোপুরি একটি পরকীয়াজনিত ঘটনা। অনেকদিন ধরেই ফজর আলী ও তার ভাই ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় পক্ষের নেতারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ফজর আলীর কোনো রাজনৈতিক পদ-পদবি নেই। অতীতে তিনি আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সঙ্গে চলাফেরা করলেও সাম্প্রতিককালে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক নারী সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে এবং সে একটি হত্যা মামলার জামিনে রয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সামাজিকভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুলিশের তদন্তে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট